ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সিগন্যাল বাড়াতে ৫ কৌশল

সিগন্যাল বাড়াতে ৫ কৌশল

সিগন্যাল দুর্বল হলে যা করবেন

সাব্বিন হাসান

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫ | ০১:০৩ | আপডেট: ০২ জুন ২০২৫ | ১৮:৪৪

উৎসব উদযাপনে চাপ বেড়ে যায় মোবাইল নেটওয়ার্কে। ঠিকঠাক কথা বলা যেন কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে নেটওয়ার্ক দুর্বলতা সুস্পষ্ট হয়ে বোঝা যায়। কলড্রপ বা ফ্রিকোয়েন্সি না পাওয়া এখন নিত্যদিনের অভিজ্ঞতার অংশ। কথোপকথনে এপাশে যখন শুনতে পান না, আবার ওপাশে থাকা আলাপচারী অনেক সময় স্পষ্ট শুনতে পান না। কিছু পরামর্শ মেনে চললে নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা অনেকাংশে ভালো হবে। হঠাৎ করেই বিশেষ জায়গার, যেমন– রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড বা কোরবানির হাটে গ্রাহকের চাপ বেড়ে গেলে বা গ্রামাঞ্চলে খারাপ নেটওয়ার্কের কারণে কথোপকথন সুস্পষ্ট শোনা যায় না। 
কণ্ঠ ভেঙে যায়।

অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন হোক; প্রায় সব ফোনেই এমন ইস্যুর মুখোমুখি হতে হয়। তুলনামূলক দুর্বল সিগন্যালের কারণে এমনটা হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েকটি সহজ কৌশল মেনে চললে মোবাইলের নেটওয়ার্ক ইস্যুতে 
কিছুটা সুফল পাওয়া যায়।

বিশেষ মোড অন-অফ
প্রথমেই এয়ারপ্লেন মোড অন করে অফ করে নিতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন– দুই ঘরানার সিস্টেমে সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি এটি। ফলে দুর্বল নেটওয়ার্ক অনেকাংশে স্বাভাবিক হয়ে যায়। ন্যূনতম ১৫ সেকেন্ডের জন্য এয়ারপ্লেন মোড অন করে রাখা প্রয়োজন। তারপর আবার অফ করলে যে অবস্থানে রয়েছেন, সে অঞ্চলের মোবাইল টাওয়ার খোঁজার কাজ করবে। অনেক সময়ে এমন পদ্ধতি মেনে নেটওয়ার্ক ইস্যুর সমাধান পাওয়া যায়।

প্রয়োজনে নেটওয়ার্ক সেটিংস
ডিভাইসের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিস্টার্ট করে নিতে হবে। যখন ডিভাইসে এক থেকে দুই দাগ সিগন্যাল দৃশ্যমান হয়, ওই সময়ে একবার পুরো নেটওয়ার্ক সেটিংস খুলে তা রিস্টার্ট করার প্রয়োজন হবে। খেয়াল রাখবেন, এমনটা করলে সংরক্ষিত থাকা ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড, পার্সোনালাইজড সেটিংস– সবই মুছে যাবে। কিন্তু ডিভাইসের টাওয়ার খোঁজার প্রচেষ্টা আবার নতুন করে শুরু হলে তা আশপাশে নেটওয়ার্কের ক্ষমতাকে কিছুটা শক্তিশালী করবে।

থ্রিজি, না ফোরজি
ডিভাইসে ক্যারিয়ারের সেটিংস বদলের প্রয়োজন হতে পারে। স্থানীয়ভাবে অনেক জায়গায় থ্রিজি বা ফোরজি পরিষেবার তারতম্য হতে পারে। কিন্তু ডিভাইসে যে ক্যারিয়ার রয়েছে, মানে যে ধরনের স্থানীয় অপারেটরের পরিষেবার মধ্যে রয়েছেন, সেখানে কিছুটা সমন্বয়ের অভাব হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সির খোঁজে ডিভাইস অবিরাম প্রচেষ্টায় থাকে। এতে তার ব্যাটারি ও র‍্যামের ওপর বাড়তি চাপের কারণে ডিভাইস নেটওয়ার্ক সিগন্যালের দুর্বল অংশে পৌঁছে যায়। সব সময় ডিভাইসের ক্যারিয়ার সেটিংস সময়োপযোগী রাখা বিশেষ প্রয়োজন। অপারেটর অনেক সময় মেসেজের মাধ্যমে সেটিংস অপশন করণীয় প্রেরণ করে, তা মেনে চলা শ্রেয়। ডিভাইসে থাকা সব সফটওয়্যার আপডেট থাকলে নেটওয়ার্কে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।

ভ্রমণে পূর্ণ সিগন্যাল
অনেক সময় এয়ারপ্লেন মোড অন-অফ করে সুফল পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে ফোনকে একবার রিস্টার্ট করা প্রয়োজন। রিস্টার্ট হলে অনেক সময় টাওয়ারজনিত সমস্যা তাৎক্ষণিক ও প্রাথমিকভাবে সুরাহা হয়ে যায়। ফলে পূর্ণ সিগন্যাল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। ডিভাইস বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক দৃশ্যমান সমস্যা রিস্টার্ট করা থেকেই সমাধান হয়ে যায়। ভ্রমণে ডিভাইস অনেক সময় হুট করেই ধীরগতির হয়ে যায়।

হ্যাং হয়ে গেলেও ফোনকে কিছুক্ষণ পুরোপুরি বন্ধ রেখে আবার সচল করা ভালো। ফলে ফোনের নিজস্ব সফটওয়্যার নিজে থেকেই রিবুট হয়। অভ্যন্তরীণ সমস্যা চিহ্নিত করে রিপোর্ট পাঠায় ডিভাইস নির্মাতার কাছে।

পুরোনো সিমকার্ড বদল
যদি ব্যবহৃত ফোন বেশ পুরোনো হয়, তাহলে সিম ট্রে খুলে সিমকার্ড বের করে নরম কাপড় দিয়ে মুছে আবার তা ফোনে প্রবেশ করাতে হবে। টানা পুরোনো সিম ব্যবহার করা উচিত নয়। অপারেটরের দেওয়া নতুন সিম ব্যবহার করা উচিত। কারণ, অপেক্ষাকৃত পুরোনো সিমকার্ডের নেটওয়ার্ক ধারণ সক্ষমতা সময়ের সঙ্গে দুর্বল হয়। নতুন আসা সিমকার্ড টাওয়ার সিগন্যাল ভালো রিসিভ করে। ভ্রমণে হুট করে নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে উল্লিখিত পরামর্শ সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
অনেক সময় স্থানীয় অপারেটরের নেটওয়ার্ক দুর্বলতার কারণে এমন সমস্যায় পড়তে পারেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্য তেমন কিছু করার থাকে না। মাঝেমধ্যে ব্যবহৃত অ্যাপ দিয়ে বা থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিজের ফোনের নেটওয়ার্ক ক্ষমতাকে বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন

×