ই-ক্যাব নির্বাচন
পরিচালক পদে মনোনয়ন জমা দিলেন টেকনিশিয়ান সিইও সৈকত

পরিচালক পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন টেকনিশিয়ানের সিইও মো. সোরাব হোসেন সৈকত। ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪ | ১৩:৪৭
আসন্ন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরিচালক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন টেকনিশিয়ান টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং টেকনিশিয়ানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সোরাব হোসেন (সৈকত)। আগামী ২৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত সোমবার ই-ক্যাবের বনানী কার্যালয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের (ডিএমএফ) সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, একিউর নিউট্রিশান লিমিটেডের সিইও আব্দুল মতিন ও হাফিজুর রহমানসহ অনেকেই।
আগামী ২৭ জুলাই (২০২৪-২৬) অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে মো. সোরাব হোসেন সৈকতের অংশগ্রহণ ই-ক্যাব সদস্যদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সৈকত বলেন, আগামী ই-ক্যাব নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরিচালক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আশা করি, নির্বাচনে জয়ী হলে ই-ক্যাবকে একটি এসএমই বান্ধব সংগঠনে পরিণত করতে কাজ করে যাবো।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বিজয়ের পর গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ই-ক্যাবের পৃষ্ঠপোষকতা পাবেন। শহরে কিংবা প্রান্তিকে কোনো উদ্যোক্তাই অবহেলিত হবেন না।
মো. সোরাব হোসেন সৈকত টেকনিশিয়ানের সিইও। তার নেতৃত্বে টেক কোম্পানিটিকে দেশের অন্যতম অনলাইনভিত্তিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সৈকতের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব এবং সেবামূলক মানসিকতা ই-ক্যাবের পরিচালক হিসেবে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ই-ক্যাবের সদস্যদের জন্য সোরাব হোসেন সৈকত বেশ কয়েকটি লক্ষ্য তুলে ধরেন-
মেম্বারদের ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট, ট্রেনিং এবং মেন্টরিং সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে দক্ষতা উন্নয়নে মনোনিবেশ করা।
ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য বিনিয়োগ প্রস্তুতি এবং ক্রাউডফান্ডিং সুবিধা প্রদানে উদ্যোগ গ্রহণ করা, যাতে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি ক্রস-বর্ডার ই-কমার্স কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার আশা ব্যক্ত করেন এবং সহজতর করবেন।
এছাড়াও ৬৪ জেলায় আমাদের যেসব উদ্যোক্তারা রয়েছেন, তাদেরকে ই-কমার্স ভিত্তিক ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেওয়া। জেলাভিত্তিক ই-কমার্সের কমিটি ও মিটআপের মাধ্যমে দেশীয় বাজারে ই-কমার্সের উপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন সৈকত।