ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি চালু করল জিপি

গ্রামীণফোনের ফ্রি লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিজস্ব একাডেমির মাধ্যমে ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ ঘোষণা করেছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গঠনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপের সুযোগ পাবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। চাকরির বাজারের ঘাটতি পূরণ, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচন ছাড়া নতুন প্রজন্মকে সুদক্ষ করে তোলাই এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
রাজধানীর জিপি হাউসে কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের প্রকল্পের কাঠামোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মেন্টররা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য প্রকল্পটি কীভাবে সহায়ক হবে, তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করেন প্রকল্পের নেতৃত্বে থাকা মেন্টররা। দুটি আলাদা ব্যাচে মোট ৬৪টি ইন্টারঅ্যাকটিভ অনলাইন ক্লাস অন্তর্ভুক্ত, যা ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন ও ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে কেন্দ্র করে সাজানো।
শিক্ষার্থীদের তিন মাসের মধ্যে ১০০ ডলার আয় ও আট মাসের মধ্যে হাজার ডলার আয় করতে সক্ষম করে তোলাই মেন্টর নেতৃত্বাধীন এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত প্রত্যাশার কথা জানান। অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রেরণামূলক সবকটি গল্প শোনেন, যেখানে বরগুনার আমতলী থেকে আসা অংশগ্রহণকারী ও শ্রবণ সমস্যায় ভোগা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের মতো অংশগ্রহণকারীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশার কথা সামনে আসে।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন (সিসিএও) বলেন, অংশগ্রহণকারীর ৪০ শতাংশই নারী ও ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরের, যা একে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর জন্য এটি জরুরি।
গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের  নিজেদের দক্ষতা বাড়ানো ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ খুঁজে বের করতে হব। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে প্রতিটি নতুন দক্ষতা অর্থবহ অবদান রাখার সুযোগ তৈরি করতে পারে।
জিপি একাডেমির ফেসবুক গ্রুপ ও লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী যুক্ত হন। 
প্রতিযোগিতায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকারের পর ১০৬ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।