ইসি রাশেদা সুলতানা

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, দেশে ৪৪টি নিবন্ধিত দল আছে। প্রতিটি দলের স্বাধীনতা রয়েছে নির্বাচন করা-না করার। এখানে কমিশনের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। তবে আমরা কমিশন সব সময় চাই, সব দল আসুক; সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু দলের এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে গেছে; একটা রাজনৈতিক বিরোধ হয়ে গেছে। এটা দূর করার ক্ষমতা, এখতিয়ার কোনটাই কমিশনের হাতে নেই। সংবিধান বা নির্বাচনী আইন কোনোটাতেই এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নাই। 

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, দেশে ৪৪টি নিবন্ধিত দল আছে। প্রত্যেকটি দলের স্বাধীনতা রয়েছে নির্বাচন করা না করার বিষয়ে। আমি একটি দল করি, আমার দল নির্বাচন করবে কি না, এটা নিতান্তই ওই দলের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, ওনাদের দলীয় স্বাধীনতা। এখানে কমিশনের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নাই।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যদি ভোটারদের ভয় দেখানো হয়, তাহলে তার প্রার্থিতা আমরা বাতিল করে দেব। এর পর আদালতে যেতে চাইলে যাবেন, না হলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না। তিনি বলেন, আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার চালাতে হবে। বিনা কারণে একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করে কথা বলা যাবে না।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশের গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না এবং দেশের মানুষের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। এই কথা বিবেচনায় রেখে কমিশন সব নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছে।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, প্রথম ধাপের চেয়ে পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে কাজ করছেন তারা। তবে প্রার্থীদের দায়িত্ব ভোটারদের ভেটকেন্দ্রে নিয়ে আসা, আর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ভোটারদের নিরাপত্তা বিধান ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের পরিবেশ সৃষ্টি করা।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাইলে প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বশীল এজেন্ট দিতে হবে, যিনি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তা যেই হোক, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি তারা সরকারি কর্মকর্তা হলে তাদের চাকরি থাকবে না। 

রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে যে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়েছে তার নিচে আমরা আর নামতে দিতে চাই না, বরং আরও উপরে উঠতে চাই। আসছে উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা আসবেন।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি- এমন কথা এখনও উঠে আসেনি। এবার নির্বাচন খুবই ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।