‘নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না’

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশের গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না এবং দেশের মানুষের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। এই কথা বিবেচনায় রেখে কমিশন সব নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছে। এমন কি ভোট সহিংসতা মুক্ত রাখার চেষ্টা চলছে। মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্র গিয়ে নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যবস্থা করছে কমিশন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সামনের ধাপগুলোও আমরা আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চাই। যাতে সাধারণ  মানুষের বলতে পারে এই নির্বাচন কমিশন ভালো নির্বাচন করতে পারে।’
 
নির্বাচন কমিশন কাউকে বিজয় করার লক্ষে কাজ করে না দাবি করে ইসি বলেন, প্রশাসনকেও সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। দেশে-বিদেশের সব জায়গায় যেন প্রশংসিত হয় বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে। নির্বাচন কমিশনের একটাই প্রত্যাশা নির্বাচন ব্যবস্থায় যেন কালিমা লেপন না হয়।
 
প্রার্থীদের উদ্দেশে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, আচরণ বিধি মেনে প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বিনা কারণে একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করে কথা বলা যাবে না। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসেন সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কোনো প্রার্থীর কোনো অভিযোগ থাকলে কমিশনকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার হবে আশ্বাস দেন তিনি।
 
নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে ইসি বলেন- দেশে সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থা যাতে বিরাজমান থাকে ও জোরদার হয় সেই চিন্তা করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষ যেন বলে এই কমিশনের সময় নির্বাচন ব্যবস্থা কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি, ধ্বংস হয়নি।
 
সভায় নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন, বিভাগীয় অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।