প্রাথমিক শিক্ষক

তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২৩ জুন থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। শনিবার যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষকদের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় জাতীয়করণ করা শিক্ষকদের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ২০২০ সালের ১২ আগস্ট যে টাইম স্কেল সংক্রান্ত চিঠি জারি করা হয়, তা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ও বিভ্রান্তিকর।

সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবি আদায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সোমবার থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।

সরকার দেবে ১২তম গ্রেড। শিক্ষকরা চান ১১তম। দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ সোমবার থেকে সারাদেশে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এর আগে গতকাল রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।

দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নির্বিঘ্ন করতে শূন্য পদগুলোতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মহাসমাবেশ করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। রোববার দুপুরে শতাধিক আন্দোলনকারী জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে মহাসমাবেশ শুরু করেন।

আগামী দুই দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির পর রোববার মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন তারা। তবে কোথায় এ সমাবেশ করা হবে তা জানানো হয়নি।

‘সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও সাতজন নারী রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শাহবাগে চলমান অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা।

হাইকোর্টের রায়ে নিয়োগ বাতিল হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদপ্রার্থীদের লাঠিপেটা এবং জলকামান ব্যবহারে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্ত (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের) প্রার্থীরা নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।