যুদ্ধের প্রস্তুতি

সংঘাত বন্ধে ভারত ও পাকিস্তানকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। দুই দেশকেই বিবেক, বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে জনগণ ও সম্পদের ক্ষতি এড়াতে উত্তেজনা কমাতে হবে। উভয় দেশের জন্য তা হবে মঙ্গলজনক। চলমান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিলে সমগ্র বিশ্বেই এর প্রভাব পড়বে। গতকাল শুক্রবার এসব কথা বলা হয় পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডনের সম্পাদকীয়তে।

সিগন্যালের গ্রুপ চ্যাটে সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সদস্যরা। সেই চ্যাটে ছিলেন এক সাংবাদিকও। পরে সে তথ্য ফাঁস করেন তিনি। খবর ডয়চে ভেলের।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যেসব দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে তিনি সে সব দেশের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে বাধ্য হবেন।

ইউক্রেন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানোয় ওয়াশিংটন ও মস্কো মুখোমুখি লড়াইয়ে নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। রাশিয়ার কঠোর সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ইউক্রেন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়।

হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইরান। কিন্তু গাজা শান্তি আলোচনায় অগ্রগতির বিনিময়ে তেহরান পিছু হটতে পারে।

ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যে এবার লেবানন সীমান্তে সেনা সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল। পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেশটির সেনাবাহিনী এরই মধ্যে তাদের সামরিক মহড়ার ভিডিও প্রকাশ করেছে। আজ শুক্রবার ইসরায়েলি গণমাধ্যম আই২৪নিউজ এ খবর দিয়েছে।

ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠিয়ে জার্মান সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। ইসরায়েল এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ফিলিস্তিনের গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই জার্মানির আদালতে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একটি মানবাধিকার সংগঠনের আইনজীবী আলেকজান্ডার শোয়ারৎস। 

ইউক্রেনকে ১০০ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহযোগিতা তহবিল দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো। বুধবার ন্যাটো দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে এক বৈঠকে মিলিত হন। তাদের বৈঠকে পাঁচ বছর মেয়াদে এ তহবিল দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। 

যুদ্ধ কড়া নাড়ছে ইউরোপের দরজায়, আর রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে ইউক্রেন হেরে গেলে ইউরোপের কোনো দেশই আর নিরাপদ থাকবে না, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বাঁধার পর থেকেই এই ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ মধ্যপন্থা বজায় রেখে চলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁখো। কিন্তু সম্প্রতি তিনি সুর পাল্টে ফেলেছেন। এমনকি ইউক্রেনে ফ্রান্সের বাহিনী পাঠানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। হুট করে তার মনোভাবে এমন পরিবর্তন এলো কী করে