শরণার্থী

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ক্রমে বাড়ছে। এর মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশিদের ঠাঁই নেওয়ার প্রবণতা বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর জাতিসংঘের

কর্তৃত্ববাদী শাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন সিরিয়ান নাগরিকেরা। এরইমধ্যে দেশটির শরণার্থীদের জন্য সুখবর দিয়েছেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজায় জাতিসংঘের পাঠানো খাদ্যপণ্যবোঝাই ১০৯টি লরি লুটপাট করা হয়েছে। তবে কারা এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত তা জানা সম্ভব হয়নি। 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে অনশন করছেন নারী ও শিশুসহ শতাধিক রোহিঙ্গা। বন্দী শিবিরে আটক রাখার প্রতিবাদে সোমবার অনশনে বসেন তারা।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষর না করেও ভারত ১৯৭১ সালে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাংলাদেশও এখন রোহিঙ্গাদের এ স্বীকৃতি দিতে পারে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত, সহিংসতা; মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে বিশ্বে বাড়ছে অস্থিরতা। এসবের প্রভাবে বিভিন্ন দেশে শরণার্থী বেড়ে ১২ কোটি হয়েছে। শরণার্থীদের ২১ শতাংশ আশ্রয় নিয়েছে গরিব দেশগুলোতে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এক কোটির বেশি মানুষ শরণার্থী হয়েছিল প্রতিবেশী ভারতে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংস অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে তাদের এই যাত্রাপথ ছিল দুর্ভোগের। ওই দেশে গিয়েও দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়েছিল।