সংঘাত

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নবম দিনে প্রবেশ প্রবেশ করেছে। গতকাল শনিবারও ইরান-ইসরায়েল দু’দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। ইসরায়েলি বাহিনী তেহরান, খোজেস্তান প্রদেশসহ ও ইরানের কয়েকটি শহরে হামলা করেছে। ইরানও নতুন করে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কয়েক দশকের মধ্যে ১৩ জুন ইরানে আগ্রাসী হামলা চালায় ইসরায়েল। লেবাননে অতীত সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে হামলার ছক কষেছিল দেশটি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চালানো ওই হামলায় হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান ইউনিটকে নেতৃত্বশূন্য করা হয়েছিল। অত্যন্ত দ্রুতগতির সঙ্গে পরিচালিত সেই হামলায় শেষ পর্যন্ত মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছিল তেল আবিব। তবে ইরানে সেই কৌশল কাজ করেনি। 

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। এই যুদ্ধ যেখানে চলছে, সেটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী এলাকা। সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় বিশ্ব অর্থনীতিতে তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা।

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছেই। মঙ্গলবারও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। 

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সবেমাত্র শুরু। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে দুর্বল করে তুলতে ও তার সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস করতে ইসরায়েল ‘যতদিন সময় লাগে’ (সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ) হামলা চালিয়ে যাবে। ইরান ইতোমধ্যেই ইসরায়েলে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের শহর লাহোরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রয়টার্সকে এক প্রত্যক্ষদর্শী এ খবর জানান। দেশটির জিও টিভিও একই খবর জানিয়েছে। 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান এই সংঘাতকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে তা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারতের মধ্যেকার অবস্থা সত্যিই খুব ভয়াবহ।

ভারত শাসিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তান ও ভারত সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই পাকিস্তানের কাশ্মিরে দেখা দিয়েছে বন্যা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ২৫ জেলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন অভ্যন্তরীণ বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, বালুমহাল, পরিবহন, হাটবাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ এবং দলীয় কর্মসূচিতে সংঘর্ষে। চট্টগ্রাম জেলায় সর্বোচ্চ ১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট হানাহানিতে।