সোমালিয়া

ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আবদিওয়ালি মোহাম্মদ আলী (২৪) নামে এক সোমালিয়ান নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এবার লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি ব্যাসিলিস্ক নামের একটি জাহাজ ছিনতাই করেছে সোমালি জলদস্যুরা। সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৩৮০ নটিক্যাল মাইল পূর্ব দিকে সম্ভাব্য জলদস্যু আক্রমণের এই ঘটনাটি ঘটেছে। এমভি ব্যাসিলিস্ক তখন উত্তরমুখী হয়ে চলছিল। খবর ডেইলি সোমালিয়ার 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের দ্বিতীয় প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড অফিসার তারেকুল ইসলাম, নাবিক সাজ্জাদ হোসেন ও অয়েলার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন শিমুল বাড়ি ফিরেছেন। তৌফিক ও তারেকুল বুধবার সকালে, সাজ্জাদ ও শিমুল মঙ্গলবার রাতে বাড়ি পৌঁছান। তাদের ফিরে পেয়ে যেন আবেগের বাঁধ ভেঙে যায় পরিবারের সদস্যদের। 

‘জিম্মি করার পর দস্যুরা আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করত। যখন দেখেছে আমরা নিয়মিত নামাজ পড়ছি, রোজা রাখছি তখন তাদের মন নরম হয়। এরপর থেকে তারা নরম সুরে আমাদের সাথে কথা বলে এবং অত্যাচারের মাত্রা কমিয়ে দেয়।’

সোমালিয়ার জলদস্যুর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিককে নিয়ে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করে।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বললেন, ‘জলদস্যুরা প্রত্যেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। ওদের কারও হাতে ছিল রকেট লঞ্চার। কারও হাতে ছিল মেশিন গান। একে-৪৭, এম-সিক্সটিনসহ নানা রকমের অস্ত্র ছিল সবার হাতে। এই জীবনে একসঙ্গে এত অস্ত্র দেখিনি কখনও। এগুলো যখন মাথার ওপর তাক করে রাখতো তারা মনে হতো আজই মনে হয় জীবনের শেষ দিন।’ 

অবশেষে ঝুঁকিপূর্ণ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত তিনটায় জলদস্যু মুক্ত হয় জাহাজটি। এরপর আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। এখন জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।

সোমালিয়ান জলদস্যুদের সঙ্গে অবশেষে হলো চূড়ান্ত সমঝোতা। মুক্তিপণ দিয়েই জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হয়েছে। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে জাহাজটি রওনা হয়েছে আরব আমিরাতের দিকে। কিন্তু কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হলো এম ভি আবদুল্লাহ? সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি মালিকপক্ষের কেউ।

৩১ দিন পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হলেন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহর’ ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। বাংলাদেশে সময় শনিবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ।

বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করা সোমালি জলদস্যুদের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। নাবিকদের সঙ্গে শুরুর দিকে কঠোর আচরণ করলেও এখন তারা কিছুটা নমনীয়। নাবিকদের সঙ্গে আর দুর্ব্যবহার করছে না তারা। নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে।