ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ভোটযুদ্ধ

বিজয় দিবস সংখ্যা

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ভোটযুদ্ধ

আবু সাঈদ খান

আবু সাঈদ খান

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২:৩৭ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৫:৫৪

নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য অঙ্গ। এর মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়, পার্লামেন্টে বিরোধী দলের অবস্থানও নিরূপিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে নির্বাচন অনন্য ভূমিকা পালন করেছে, পরিণত হয়েছে অধিকার আদায়ের হাতিয়ারে।

১৯৩৭ সালে প্রথম ব্যাপক জনগণের ভোটে ভারত শাসন আইনের (দ্য ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৩৫) অধীনে বঙ্গীয় গণপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেটি ছিল পৃথক নির্বাচন। মুসলিম আসনে মুসলিম লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কৃষক প্রজাদের মাঝ থেকে ওঠা আবুল কাশেম ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি (কেএসপি)। কেএসপি জমিদারি উচ্ছেদ ও মহাজনী ঋণ মওকুবের মতো যুগান্তকারী নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। তা মোকাবিলায় মুসলিম লীগকেও অনুরূপ বক্তব্য নিয়ে ভোটের মাঠে নামতে হয়। এ নির্বাচন সম্পর্কে প্রখ্যাত রাজনীতিক-সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমেদ লিখেছেন, ‘যুদ্ধটা দৃশ্যত: কৃষক প্রজা পার্টি ও মুসলীম লীগ এই দুইটি দলের পার্লামেন্টারি সংগ্রাম হইলেও ইহার পরিণাম ছিল সুদূরপ্রসারী। আমরা কর্মীরা এই নির্বাচনের রাজনৈতিক গুরুত্ব পুরাপুরি তখনও উপলব্ধি করিতে পারি নাই সত্য কিন্তু সাধারণভাবে কৃষক-প্রজাগণের এবং বিশেষভাবে মুসলিম জনসাধারণের অর্থনৈতিক কল্যাণ-অকল্যাণের দিক হইতে এ নির্বাচন ছিল জীবন-মরণ প্রশ্ন, এটা আমরা তীব্রভাবেই অনুভব করিতাম।’ (আবুল মনসুর আহমদ, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ পৃ: ৯৭)। এই নির্বাচন ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। খাজা নাজিমুদ্দীন নিজ জমিদারি এলাকায় পটুয়াখালীতে প্রার্থী হলেন। জমিদারের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেন ফজলুল হক। ‘একদিকে ইংরাজ লাটের প্রিয়পাত্র স্যার নাজিমুদ্দীনের পক্ষে সরকারি প্রভাব ও ক্ষমতা এবং নাইট-নবাবদের দেদার টাকা, অপরদিকে খেতাববিত্তহীন প্রজা-নেতা হক সাহেবের পক্ষে তাঁর মুখের বুলি ‘ডাল-ভাত’ ও সমান বিত্তহীন প্রজা কর্মীরা। রোমান্টিক আদর্শবাদী ছাত্ররা স্কুল-কলেজের পড়া ফেলিয়া বাপ-মায়ের দেওয়া পকেটের টাকা খরচ করিয়া চারিদিক হইতে পটুয়াখালী ভাংগিয়া পড়িল। এর ঢেউ পটুয়াখালীতে সীমাবদ্ধ থাকিল না। সারা বাংলার বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্রেও ছড়াইয়া পড়িল। হক সাহেব খাজা সাহেবের প্রায় ডবল ভোট পাইয়া নির্বাচিত হইলেন। তাঁর বরাবরের নিজের নির্বাচন কেন্দ্র পিরোজপুর হইতেও তিনি নির্বাচিত হইলেন।’ (পূর্বোক্ত, পৃ: ৯৮-৯৯)।

নির্বাচনের রায়ে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের পাশাপাশি কৃষক প্রজা পার্টি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। ফজলুল হক কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত সরকার গঠনের চেষ্টা করেন। কংগ্রেস রাজি না হওয়ায় প্রজা পার্টি-মুসলিম লীগ সরকার গঠিত হয়। অনেক প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার কারণে হক-লীগ সরকারের পক্ষে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ সম্ভব হয় না। তবে ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধন করে খাজনা বৃদ্ধির ধারা ১০ বছর স্থগিত এবং জমিদারের ধার্যকৃত সব ধরনের আবওয়াব ও সালামি বিলোপ করা হয়। মহাজনী আইন প্রণয়ন ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে প্রজাকুলের ওপর চেপে থাকা মহাজনী সুদের বোঝা অনেকাংশেই লাঘব হয়।

দেশভাগের প্রাক্কালে ১৯৪৬ সালে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে বাংলার মুসলমানরা স্লোগান দেয়– ‘হাতমে বিড়ি, মুমে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’। পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা মিশেছিল। তবে এর আড়ালে ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির আকুতি। অবিভক্ত বাংলায় জমি ও চাকরি ছিল উচ্চ বর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়ের করতলে। প্রজারা ছিল মুসলমান ও নিম্নবর্ণের হিন্দু। মুসলমান ও নিম্নবর্ণের হিন্দু শিক্ষিত যুবকদের চাকরি মিলছিল না।  সেটিও ছিল বর্ণ হিন্দুদের করায়াত্তে। এ ব্যাপারে কংগ্রেসের নির্লিপ্ততা মুসলমানদের পৃথক রাষ্ট্র গড়ার আন্দোলনে শামিল করিয়েছিল। নিম্নবর্ণের হিন্দুরা অভিন্ন দাবিতে তপশিলি ফেডারেশনের ব্যানারে পাকিস্তান আন্দোলনে শরিক হয়। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনের রায়ের ভিত্তিতে দেশভাগের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়। সমস্যা দাঁড়িয়েছিল সিলেট নিয়ে। গণভোটের মাধ্যমে সিলেট পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। 

 ১৯৪৭ সালের দেশভাগের অব্যবহিত পরই পাকিস্তান আন্দোলনের সৈনিকদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। ভাষা আন্দোলনে পূর্ব বাংলার হিন্দু-মুসলমান অতীতের সব গ্লানি মুছে একাট্টা হয়। তারা অসাম্প্রদায়িক ভাষাভিত্তিক জাতীয় চেতনায় শানিত হয়। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আরেকটি ভোটযুদ্ধ মুসলিম লীগের তরুণ তুর্কিদের নবযাত্রায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। সেটি ১৯৪৯ সালের ২৬ এপ্রিল টাঙ্গাইল (নাগরপুর, মির্জাপুর ও বাশাইল থানা) উপনির্বাচনে। একদিকে মুসলিম লীগের প্রার্থী করটিয়ার প্রভাবশালী জমিদার খুররম খান পন্নী, অপরদিকে প্রতিবাদী ওয়ার্কার্স ক্যাম্পের প্রার্থী শামসুল হক। এ নির্বাচন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ‘আমরা ঠিক করলাম, শামসুল হক সাহেবকে অনুরোধ করব মুসলিম লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়তে। শামসুল হক সাহেব শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন, কিন্তু টাকা পাওয়া যাবে কোথায়? হক সাহেবেরও টাকা নাই, আর আমাদেরও টাকা নাই। তবু যেই কথা সেই কাজ। শামসুল হক সাহেব টাঙ্গাইল চলে গেলেন, আমরাও যে যা পারি টাকা জোগাড় করলাম। কয়েক শত টাকার বেশি জোগাড় করা সম্ভব উঠল না। ছাত্র ও কর্মীরা ঘড়ি-কলম বিক্রি করেও কিছু টাকা দিয়েছিল।’ (শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত জীবনী, পৃ: ১১৫)। এই নির্বাচনে শামসুল হক বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেন; যা মুসলিম লীগের বিদ্রোহী কর্মীদের মধ্যে নতুন জোয়ার এনেছিল। এ বিজয় আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।

১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন ছিল অনন্য ঘটনা। মুসলিম লীগ মোকাবিলায় শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টিসহ বিভিন্ন সরকারবিরোধী দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। একুশে ফেব্রুয়ারির স্মৃতি সমুন্নত রাখতে প্রণয়ন করা হয় পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবি সংবলিত একুশ দফা।  

নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে গণজোয়ার আছড়ে পড়ে। ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন লাভ করে।  মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিনও এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ার কাছে পরাজিত হন। শেরেবাংলার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলো। বছর না ঘুরতেই পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ৯২ক ধারা জারি করে হক সরকারকে বরখাস্ত করেন। যুক্তফ্রন্ট অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে পারল না। তবে ’৫৪ সালের ভোটযুদ্ধে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছিল, তা সমাজগর্ভে অন্তঃসলিলার মতো বহমান থাকল। 

১৯৫৮ সালে জেনারেল মুহম্মদ আইয়ুব খানের মার্শাল ল’র থাবায় সর্বজনীন ভোটাধিকার লুণ্ঠিত হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের এখতিয়ার পূর্ব  ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে  ৮০ হাজার (৪০ হাজার + ৪০ হাজার) মৌলিক গণতন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত হয়। জনগণ ওদের পরিহাস করে বলত, আইয়ুবের ৮০ হাজার ফেরেশতা। এই মৌলিক গণতন্ত্রীদের (বিডি মেম্বার) ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। ১৯৬৫ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আইয়ুবকে মোকাবিলা করার জন্য মুসলিম লীগ (কাউন্সিল), আওয়ামী লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, নেজামে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামী মিলে সম্মিলিত বিরোধী দল (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি-কপ) গঠন করে। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নাহর বোন মিস ফাতেমা জিন্নাহকে কপের প্রার্থী করা হয়। 

বিডি মেম্বাররা ছিলেন আইয়ুবের শাসনামলের  সুবিধাভোগী। ফলে আইয়ুবকে পরাজিত করার কোনো বাস্তবতা ছিল না।  নির্বাচনে আইয়ুব বিজয় হলেও, পূর্ব পাকিস্তানে বিরোধী দলগুলোর প্রচার-প্রচারণায় আইয়ুববিরোধী জনমত গড়ে ওঠে। পূর্ব পাকিস্তানের কিছু জেলায় মিস জিন্নাহ জয়লাভ করে। এখানে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্যে পাকিস্তানের সব মোহ ঘুচে যায়। গণঅভ্যুত্থানের সৈনিক ছাত্র-যুবকরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। তবে সবাই তখন নন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকে তাকিয়ে। বঙ্গবন্ধু চাইছিলেন, চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে জনগণের ম্যান্ডেট।  

১৯৭০ সালের নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। লোকসংখ্যানুপাতে আসন নির্ধারণ করার বিষয়টি পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ইতিবাচক ছিল। তবে মাথার ওপর ছিল লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক আদেশের খড়্গ।
নির্বাচনের আবহের মধ্যে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঘোষণা করেন, ভোটের আগে ভাত চাই। তখন মোজাফ্ফর ন্যাপ ঘোষণা করে– ভোট ও ভাত দুই-ই চাই। লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক আদেশসহ কিছু বিষয়ে আপত্তি থাকার পরও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ক্ষুব্ধ নকশালপন্থিরা দেয়ালে লেখে– ‘শুয়োরের বাচ্চা জনগণ/তোমরা করো নির্বাচন/আমরা চললাম সুন্দরবন।’   

মনে পড়ে, নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে। তখন মওলানা ভাসানীর অনুসারীরা স্লোগান দেয়, আমরা করেছি পণ, হতে দেব না নির্বাচন। এর জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, আমরাও করেছি পণ, হতেই হবে নির্বাচন। নির্বাচনে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। 

শেখ মুজিবের নৌকা হয়ে ওঠে বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তারা নৌকায় ভোট দিতে মনস্থির করে। তখন মোজাফ্ফর ন্যাপের বেশ কিছু ত্যাগী নেতা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধিকারপন্থি জনতা ভোট ভাগ করতে চাইছিল না। তাই জনগণের মধ্য থেকে আওয়াজ ওঠে– মোজাফ্ফরের কুঁড়েঘর ভাইঙ্গা-চুইরা নৌকায় ভর।

সত্তরের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬০ আসন লাভ করে এবং জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্টিতে পরিণত হয়। এ নির্বাচনী ম্যান্ডেট আওয়ামী লীগকে দিয়েছিল অজেয় শক্তি; যা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থনলাভে সহায়ক হয়েছিল। আন্দোলন ও নির্বাচন দুই-ই ছিল মুক্তিসংগ্রামের হাতিয়ার, যা যুগপৎভাবে মুক্তিসংগ্রামকে পৌঁছে দিয়েছিল একাত্তরের সিংহদ্বারে।
পরাধীন ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের নির্বাচনে কোনো কোনো স্থানে কারচুপির অভিযোগ থাকলেও, সামগ্রিক বিচারে ওইসব নির্বাচন ছিল গ্রহণযোগ্য। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে নির্বাচনের সেই মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়। ব্যাপক কারচুপি, ভোট ডাকাতি, প্রার্থী হাইজ্যাক, নীল নকশা বা সিট ভাগাভাগি নির্বাচন, ভোটারবিহীনসহ ইত্যাদি নির্বাচন ব্যবস্থা কলুষিত করে। এর সমাধান হিসেবে তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে প্রশংসিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে যুক্ত হয়। ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি বিলুপ্ত হওয়ায় নির্বাচন আবার মর্যাদা হারিয়েছে। বাংলাদেশের ৫২তম বিজয়বার্ষিকীতে জাতির সামনে প্রশ্ন, আমরা কি এই মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে পারি না? 

লেখক: মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও গবেষক

আরও পড়ুন

×