শিমুলিয়ায় ফেরির অপেক্ষায় কয়েক হাজার মোটরসাইকেল

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২২ | ২৩:৪৭ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২২ | ২৩:৪৭
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। একইসঙ্গে রয়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ। ব্যক্তিগত যানবাহনের মধ্যে রাজত্ব করছে মোটরসাইকেল। এসব মোটরসাইকেল ও যাত্রী পার করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। ফেরির পাশাপশি লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
এদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ৪টি ফেরিতে যাত্রীসহ প্রায় ১ হাজার ৬০০ মোটরসাইকেল পদ্মা পার হয়েছে। এর মধ্যে ফেরি কুঞ্জলতা প্রায় ৪ শতাধিক মটরসাইকেল পদ্মা পাড়ি দিয়েছে বলে ঘাট সূত্রে জানা গেছে। মোটরসাইকেলের চাপের কারণে ওই ফেরিতে অন্য কোনো যানবাহন উঠানো সম্ভব হয়নি বলে জানা ন তারা।
এদিকে সকাল ৯টার দিকে শিমুলিয়ার ১ নম্বর ফেরিঘাটে প্রায় ২ হাজার মোটরসাইকেল পারাপারের অপেক্ষা দেখা যায়। পন্টুনের অভিমুখ থেকে পার্কিং ইয়ার্ড সড়ক পর্যন্ত সারি সারি মোটরসাইকেল।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফেরি পার হওয়ার অপেক্ষা থাকা মো. আজাদ সমকালকে জানান, সকাল ৬টা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে এসে অপেক্ষা করলেও সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাননি তিনি।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুট থেকে পাড়ি দেওয়া কিছুটা সুবিধাজনক হওয়ায় ভোর রাত থেকেই শত শত মোটরসাইকেল শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হতে শুরু করে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় শনিবার থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মোটরসাইকেলের সারি দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘতর হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট সূত্র জানায়, অসংখ্য মোটরসাইকেল পার করতে গিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি পার করা যায়নি। ফেরির প্রবেশমুখে অসংখ্য বাইক থাকার কারণে লোড আনলোড করতেও অসুবিধা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন জানান, নৌরুটে একটি রো রো, দুটি মিনি রো রো, দুটি কেটাইপ ও দুটি ডাম্পসহ মোট ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাটে আট শতাধিক ব্যক্তিগত ও ছোট গাড়ি আছে। দীর্ঘ সারিতে রয়েছে চার হাজার মোটরসাইকেল।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান বলেন, রাতে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে বন্ধ হলেও সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ সচল রয়েছে। পাশাপাশি ১৫৫টি স্পিডবোট চলছে। সকাল থেকেই লঞ্চ-স্পিডবোটে যাত্রীদের ঢল রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রী পারাপারে। বাড়তি যাত্রীর কারণে বেগ পেতে হচ্ছে।