ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

মুজগুন্নী শিশু পার্কে ঝুলছে তালা

মুজগুন্নী শিশু পার্কে ঝুলছে তালা

অযত্ন-অবহেলায় তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে খুলনা নগরীর মুজগুন্নী শিশু পার্ক সমকাল

হাসান হিমালয়, খুলনা

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০

আধুনিকায়ন করে ফের চালু হবে- এমন আশ্বাসে ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নগরীর মুজগুন্নী শিশু পার্কে তালা ঝুলিয়ে দেয় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। এরপর পার হয়েছে সাড়ে ৩ বছর। পার্ক আধুনিকায়ন হয়নি, তালাও খোলেনি। নগরীর অন্যতম শিশু পার্কটি বন্ধ থাকায় বিনোদনবঞ্চিত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক নেতারা।
খুলনা মহানগরীতে শিশুদের বিনোদনের জায়গা নেই বললেই চলে। নগরীতে সিটি করপোরেশনের আটটি পার্ক থাকলেও সেগুলোতে শিশুদের বিনোদনের সুযোগ নেই। এর
মধ্যে খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক ছাড়া জাতিসংঘ পার্ক, হাদিস পার্ক, নিরালা
ও সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা পার্ক, সোলার পার্ক সারাদিনই থাকে তরুণ-তরুণী ও প্রৌঢ়দের দখলে।
২০০৭ সালে নগরবাসীর বিনোদনের জন্য মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় প্রায় সাড়ে ৮ একর জমিতে শিশুপার্ক স্থাপন করে কেডিএ। ওই বছরের ১৮ এপ্রিল পার্কের ইজারা নেয় এসএস ওয়ার্ল্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। নানা ধরনের আধুনিক খেলনা ও মনোরম পরিবেশের কারণে শুরুর দিকে পার্কটি শিশুদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
স্থানীয়দের দাবি, ২০০৯ সালের পর থেকেই পার্কের পরিবেশ নষ্ট হতে থাকে। পার্কের ভেতরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, পার্কের সীমানায় স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দেওয়াসহ নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি পার্কের ইজারা বাতিল করে কেডিএ। এর এক মাস পর ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে পার্কের ইজারাদারকে উচ্ছেদ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে পার্কটি বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিন পার্কে দেখা গেছে, মূল ফটকে বিশাল আকৃতির ডায়নোসরের প্রতিকৃতি। ফটকটিতে ঝুলছে তালা। পার্কের ভেতরে ঘাস ও আগাছায় ভরা।
কেডিএ থেকে জানা গেছে, পার্কটি ইজারার জন্য ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করে কেডিএ। কিন্তু যোগ্যতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান না থাকায় ইজারা প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফের ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় কেডিএ। আগামী ১২ অক্টোবর দরপত্রের শেষ দিন। দরপত্র জমার সময় ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কেডিএর পরিচালক (এস্টেট) মো. বদিউজ্জামান বলেন, পার্কটি আধুনিক খেলনা দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইজারা দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, দ্রুত পার্ক চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পার্কের করুণ দশা প্রসঙ্গে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, পার্কটি বন্ধ থাকায় শিশুদের বিনোদনের সুযোগ কমে গেছে। এ এলাকায় আর কোনো পার্ক না থাকায় শিশু-কিশোরসহ সাধারণ মানুষের বিনোদনের কোনো সুযোগ নেই। দ্রুত পার্কটি উন্মুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুন

×