গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৩ | ১৫:২৭ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ | ১৫:২৭
গৌছ আলী দোয়ারাবাজারের দিনাইরটুক গ্রামের মখলিছ আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিল।
নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নান্টু রায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার হাছন ফাতেমাপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে থেকে ছেলেমেয়েদের পড়াত গৌছ আলী। একপর্যায়ে মোস্তফা মিয়ার মেয়ে কলি বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে কলি বেগমের কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকে গৌছ। মেয়ের অনুরোধে মোস্তফা মিয়া বিভিন্ন সময় গৌছকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা দেন। এর পরও আসামির চাহিদা না মেটায় মোস্তফা মিয়া অপারগ হয়ে টাকা-পয়সা দেওয়া বন্ধ করে দেন।
২০০৫ সালের ৫ জুন স্ত্রীকে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা আনতে বলে গৌছ আলী। এতে কলি বেগম রাজি না হওয়ায় গৌছ কলি বেগমকে প্রচণ্ড মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আসামি লাশের মুখে বিষ ঢেলে কলি আত্মহত্যা করে বলেও প্রচার করে।
খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবা মেয়ের মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে দোয়ারাবাজারের আমল গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া মামলাটি তদন্ত শেষে আসামি গৌছ আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ১১ (ক) ধারায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।
- বিষয় :
- হত্যা
- মৃত্যুদণ্ড
- গৃহবধূ হত্যা
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ