ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাস ডুবি

এখনও নিখোঁজ ইমানকে খুঁজছে পরিবার

এখনও নিখোঁজ ইমানকে খুঁজছে পরিবার

সমকাল প্রতিবেদক ও কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩ | ১৫:১০ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ | ১৫:৪১

কেরাণীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর তীর (তেল ঘাট) ও মিডফোর্ড হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে হতাশা নিয়ে কাকে যেন খুঁজছেন এক নারী। পরে জানা গেল, মালয়েশিয়া প্রবাসী ভাই নাসির উদ্দিনের ছেলে ইমান উদ্দিন (২২) খোঁজে এসেছেন জায়েদা বেগম। তিনি জানান, ইমান রাজধানীর ইসলামপুর একটি কপাড়ের দোকানের শ্রমিক। থাকতেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পারগেন্ডারিয়া এলাকায়। তিনি রোববার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তার ধারণা- ওয়াটার বাস ডুবির ঘটনায় ইমান নিখোঁজ হতে পারেন।

ইমান উদ্দিনের ফুফু জায়েদা বেগম সমকালকে বলেন, ইমান প্রতিদিন সকালে ঘাট পার হয়ে ঢাকায় আসেন অফিস করত। রাতে ১০টার দিকে বাসায় ফিরতেন তিনি। নিখোঁজ ইমান ইসলামপুর এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করত। ইমান আমার কাছে থাকত। রাতেই তার খোঁজে এসেছিলাম কিন্তু পাইনি। আজ আবার আসছি নিহত ও আহতদের মধ্যে তাকে খুঁজে পাইনি। এখন আমার ভাইকে আমি কি বুঝ দেবো।

সোমবার সন্ধ্যায় নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস সমকালকে বলেন, ওই ঘটনায় বাল্কহেডের মাস্টারসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওয়াটার বাসের চালক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আটকরা হলেন– মাস্টার শরিফুল ইসলাম, চালক আনসার আলী, সহযোগী সজীব সরদার, সিয়াম ব্যাপারী ও শফিউল গাজী। এ ছাড়া এমভি আরাবি বাল্কহেডটিকে জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে বুড়িগঙ্গায় এমভি আরাবি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী ওয়াটার বাস নাইন উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর পোস্তগোলা ব্রীজের পাশে শ্যামপুর এলাকা থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ এমভি রুস্তম ওয়াটার বাস নাইনটি উদ্ধার করে। এসময় উদ্ধার ওয়াটার বাস থেকে কোন নিখোঁজ ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।

ওয়াটার বাসের এক যাত্রীর বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এমভি আরাবি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ তেলঘাটে যাওয়ার পথে ডুবে যায়। বিআইডব্লিউটিএ-এর উদ্ধারকারী টাগবোট অগ্রদূত রাতে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে নারায়নগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ নিয়ে আসা। কিন্তু পোস্তগোলা ব্রিজের জন্য উদ্ধার যানটি এ পাশে আর আসতে পারে না। পরে অগ্রদূত টাগবোটা দিয়ে ওয়াটার বাসটি টেনে পোস্তগোলার পাশে হাসনাবাদ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে সকালে জাহাজ রুস্তম উদ্ধার করে। এতে নতুন কোন হতাহতের সন্ধান মেলেনি।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিসহ নৌ টহল চলমান থাকবে। কোনো লাশ ভেসে উঠলে বা উঠার সংবাদ পেলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।

আরও পড়ুন

×