নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

ছবি: সমকাল
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৩ | ১৪:২০ | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩ | ১৪:২০
ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী সজিব শেখকে (২৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি সজিব শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় ৮ বছর পর মঙ্গলবার এ রায় দিলেন আদালত। সজিব শেখ ফরিদপুর সদর উপজেলার বিলমামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে ওই গ্রামের লালমিয়া শেখের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিবাহের পর স্বামী সজিব শেখ ও স্ত্রী শিখা ওরফে রেখা (২৫) ঢাকার দোহারের পশ্চিম লোটাখোলা এলাকায় ৯ বছর যাবৎ বসবাস করতেন। ঘটনার তিন মাস আগে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলা সদরের চরকমলাপুর এলাকায় একটি টিনশেডে স্ত্রী, তিন ছেলেসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। স্বামী রিকশা ও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে, নেশা করতেন স্বামী সজিব শেখ। তাইতো, নেশার টাকার দাবিতে প্রত্যেকদিন মারতেন স্ত্রী রেখাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে স্ত্রীকে মারপিট শুরু করে স্বামী সজিব। মারপিটের একপর্যায়ে রেখার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও বটি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। অতঃপর গলায় রশি পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী।
পরে, এ ঘটনার একদিন পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আর মামলটি তদন্ত করেন কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনছের আলী। পরে স্বামী সজিব শেখকে গ্রেপ্তার করা হলে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন সে।
অতঃপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে এসআই এনছের আলী স্বামী সজিব শেখকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের পিপি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
- বিষয় :
- ফরিদপুর
- স্ত্রী হত্যা
- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড