ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন

ওসি আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

ওসি আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

ফাইল ছবি

যশোর অফিস

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:২১ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩ | ১৬:২১

প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাবেক ওসি মো. আবুল হাসেম খানের বিরুদ্ধে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে দুদক যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন এ চার্জশিট জমা দেন। তার বিরুদ্ধে চার্জশিটে এক কোটি ৪৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপপরিচালক মো. আল আমিন।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. আবুল হাসেম খান ১৯৭৭ সালে এসএসসি পাসের পর পুলিশ বিভাগে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালে সাব ইন্সপেক্টর ও ১৯৯৭ সালে পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পান। চাকরিরত অবস্থায় ২০১৮ সালে অবসর নেন তিনি। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। যার আলোকে ২০২০ সালে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে বাস্তবে অমিল পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মামলা হয়।

সম্পদ বিবরণী নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে মো. আবুল হাসেম খান নিজ নামে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৪০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪২ লাখ ২১ হাজার টাকার সম্পদ থাকার কথা জানান। কিন্তু দুদকের তদন্তে যশোর পৌরসভার বারান্দিপাড়ায় চারতলা একটি ভবন ও পাশে আরেকটি একতলা ভবনের সন্ধান পায় দুুদক। এছাড়া মনিরামপুরের দূর্গাপুরে একটি একতলা বাড়ি ও তিনটি সেমিপাকা বাড়ি রয়েছে। যশোর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামেও রয়েছে দুইতলা বাড়ি। দুদকের তদন্তে উঠে আসে তার এক কোটি ৭৬ লাখ ৭২ হাজার ১৪৯ টাকার স্থাবর ও ৪০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। সর্বমোট এক কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার ১৯৯ টাকার তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি এক কোটি ৪৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৯ টাকার সম্পদ গোপন করেন। ওই সম্পদের অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ আয় পাওয়া যায় ৫৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৩ টাকা। অর্থাৎ তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ২৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

আরও পড়ুন

×