রূপগঞ্জের হাসেম ফুডে অগ্নিকাণ্ড
৫৪ শ্রমিকের মৃত্যুর মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৫:১২ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৫:১২
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় ২০২১ সালের ৮ জুলাই হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড কারখানায় আগুনে ৫৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
অভিযোগপত্রে আসামি হিসেবে কারখানাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেন শাহ্ আজাদসহ চার কর্মকর্তা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের পরিদর্শকের নাম রয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কারখানার মালিক আবুল হাসেম ও তাঁর চার ছেলে হাসিব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহিম, তাওশীফ ইব্রাহিম ও তানজীম ইব্রাহিমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার দুই বছর পর গত রোববার সিআইডির নারায়ণগঞ্জ অফিসের পরিদর্শক মোকসেদুর রহমান অভিযোগপত্র জমা দেন। সোমবার নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হয়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন– হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মো. সালাউদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল ও ইলেট্রিক) ওমর ফারুক, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ অফিসের পরিদর্শক নেছার উদ্দিন ও সৈকত মাহমুদ।
তদন্ত কর্মকর্তা মোকসেদুর রহমান বলেন, আমার আগে আরও চার কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেছেন। তাদের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ছয়জনের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে চার্জশিট দিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কারখানার মালিকসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত কারণে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারায় একজন আসামির সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
তবে কারখানা মালিকসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে এসবিতে কমর্রত।
তিনি অভিযোগ করেন, তদন্তের ফলাফল বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁকে কিছু জানাননি। এ ঘটনায় কারখানার মালিক দায় এড়াতে পারেন না। এ কারণে হত্যা মামলা করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে কী আছে, তা দেখে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।