অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির মৃত্যু, ৯ লাখে মীমাংসা

পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: সমকাল
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪ | ২১:৪৭
কিশোরগঞ্জ শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন তাঁর স্বজন। পরে ৯ লাখ টাকায় বিষয়টির মীমাংসা হয়। মেহজাবিন নামের ওই প্রসূতি একটি কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
মেহজাবিনের স্বামী মো. শহীদুল্লাহ পেশায় রডমিস্ত্রি। শনিবার শহরতলির চরশোলাকিয়া এলাকায় মেহজাবিনের বাবা শহীদ মিয়ার বাসায় গিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
শহীদুল্লাহ জানান, ২০ মার্চ রাত ৪টার দিকে প্রসব যন্ত্রণা হলে মেহজাবিনকে নেওয়া হয় শহরের পুরান থানা এলাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্ম দেওয়ার দু’দিন পর প্রসূতির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এর পর তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানেই শুক্রবার দুপুরে মারা যান মেহজাবিন।
তাঁর চাচা আব্দুর রউফ বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলে মেহজাবিনের মৃত্যু হয়েছে। কারণ, অস্ত্রোপচার করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির অনবরত রক্তক্ষরণ হয়। মূত্রনালিসহ সেলাই দেওয়ায় পেট ফুলে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়।’
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহজাবিনের লাশ নিয়ে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁর স্বজন। পরে পৌর কাউন্সিলর সুলতান মিয়াসহ স্থানীয়রা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ৯ লাখ টাকায় ঘটনাটি মীমাংসা করেন। ঈদের আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওই টাকা পরিশোধ করার কথা।
পৌর কাউন্সিলর সুলতান মিয়া বলেন, ‘শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মীমাংসা করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে শনিবার পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। কাজেই ঘটনাটি মীমাংসা হয়ে থাকতে পারে।’
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এসএম তারেক আনামও জানান, তাদের কাছে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
- বিষয় :
- কিশোরগঞ্জ
- হাসপাতাল
- প্রসূতির মৃত্যু