পায়রায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত, আবাসিক হোটেলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। ছবি: সমকাল
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪ | ১৩:৪৯ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ | ১৩:৫৪
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ (সাত) নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এর ফলে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থানরত সব আবাসিক হোটেলকে পর্যটক ও স্থানীয় ঝুকিপূর্ণ সাধারণ মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এমএ মোতালেব শরীফ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রতি বছরই কমবেশি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে উপকূলীয় এই এলাকায়। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আমরা ঝুকিপূর্ণ সময়টাতে বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলগুলোকে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। তাই, এই ঘূর্ণিঝড় রিমালেও সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বিশেষ করে রাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে সবাই হোটেলগুলোতে আশ্রয় নিবে।
আবহাওয়া অফিস পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্র জানা যায়, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী সমকালকে বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীসহ তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়াও দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, কুয়াকাটার আশেপাশে যে হোটেলগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে রুপান্তর করা হয়েছে। এ সময়ের পর্যটকদের কোনোভাবেই সৈকতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
- বিষয় :
- পটুয়াখালী
- ঘূর্ণিঝড়
- রিমাল
- আশ্রয়কেন্দ্র
- মহাবিপৎসংকেত