বরিশালে ঘাটের ইজারা নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি
সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েন

বরিশালে যাত্রীবাহী নৌবন্দর। ছবি: সংগৃহীত
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪ | ০৩:০২
বরিশালে যাত্রীবাহী নৌবন্দরের ইজারা নিয়ে দুটি প্রভাবশালী পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। এক পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এলাকায় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত আবুল হোসেন অরুণ। তিনি সাবেক ইজারাদার হলেও ঘাটের দখল ধরে রেখেছেন। ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটাসহ কিছু যুবককে ওই এলাকায় পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন তিনি।
অন্যদিকে নতুন ইজারাদার লোকজন নিয়ে ঘাটে প্রবেশের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এতে যে কোনো সময় বড় সংঘাত হতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে গতকাল সোমবার সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল বন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চঘাট ইজারার জন্য গত ২৭ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে হাসিবুল এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় দরদাতা হিসেবে ইজারা পায়। অপরদিকে সদ্য সাবেক ইজারাদার আবুল হোসেন অরুণ এন্টারপ্রাইজ ৭৩ লাখ টাকায় সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল। ইজারা না পেলেও তিনি ঘাটের দখল ছাড়তে নারাজ।
হাসিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পেয়েও ঘাটে প্রবেশ করতে পারছি না। অন্যদিকে ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও দখল ছাড়ছেন না আগের ইজারাদার।’
হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় মাসে ১০ হাজার টাকা সরকারি ফান্ডে জমা দিয়ে কোটেশনে ঘাট পরিচালনা করা হচ্ছে।
আবুল হোসেন অরুণ বলেন, ঘাটের ইজারা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন। অপরপক্ষকে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তারা সমঝোতা বৈঠকে আসেনি।
এ বিষয়ে বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বন্দর কর্মকর্তা দু’পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এ টি এম আরিচুল হক বলেন, লঞ্চঘাটের দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।