ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

১১৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপি ও প্রতারণা  

চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

চন্দনাইশের জেসিকা গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪ | ২২:২১ | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ | ২২:৩১

পদ্মা ব্যাংকের ১১৫ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলা ও হাইকোর্টের সঙ্গে পেঅর্ডার প্রতারণায় চন্দনাইশ উপজেলার চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের জজ মুজাহিদুর রহমান এ নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল পদ্মা ব্যাংকের ৮৯ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় ওই দম্পতিকে আদালত পাঁচ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।  

মামলার নথি থেকে জানা যায়, পদ্মা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ২০১৬ সালে জেসিকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার জসিম উদ্দিন ৬০ কোটি টাকা ঋণ নেন। এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করার চুক্তি থাকলেও তা করেননি। সম্পূর্ণ সুদ মওকুফ সুবিধা নিয়ে ২০২২ সালে ঋণ পুনঃতফসিল করেন। কিন্তু তারপরও পরিশোধ না করায় ওই ঋণ সুদাসলে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা হয়েছে। নগরীর লালদীঘি এলাকার ১৬ দশমিক ৫৯ শতক জমির ওপর নির্মিত সাততলা মহল মার্কেট ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে জামানত রেখেছেন।

২০২০ সালের ১৮ জুলাই ঋণ শোধ না করায় পদ্মা ব্যাংক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। মামলায় গত ২৯ জানুয়ারি জসিমকে সুদসহ ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত। তারপরও ঋণ শোধ না করায় তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। 

অন্যদিকে আসামিপক্ষ গত ১২ দিনে (২ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত) ১৭টি পে অর্ডারের মাধ্যমে ১৪ কোটি পরিশোধ করেছে বলে উচ্চ আদালতে তথ্য দিয়ে অর্থঋণ আদালতের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ আনেন। কিন্তু ১৪ কোটি টাকা পরিশোধের তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ডিক্রিদার ব্যাংক আপিল বিভাগে আবেদন করলে আদালত গত ৪ জুলাই পর্যন্ত দুই দফা সময় দেন। কিন্তু ঋণখেলাপি জসিম পেঅর্ডারের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের কোনো প্রমাণ আদালতে দাখিল করতে পারেননি। এরই প্রেক্ষিতে আগের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেন আদালত।

আরও পড়ুন

×