ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কুমারখালী

সরকারি সড়কের গাছ কাটতে আ.লীগ-বিএনপি মিলেমিশে একাকার!

সরকারি সড়কের গাছ কাটতে আ.লীগ-বিএনপি মিলেমিশে একাকার!

প্রকাশ্যে গাছ কাটা হলেও স্থানীয়রা কথা বলতে রাজি হননি। ছবি- সমকাল

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩:০২ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩:০২

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি-খোর্দ্দ ভালুকা সড়কের কবরস্থান সংলগ্ন পাড়কমোড় এলাকার পাকড় বৃক্ষটি প্রকাশ্যে কেটে নেওয়া হয়েছে। মাসখানেক আগে একই এলাকা থেকে প্রায় লাখ টাকা মূল্যের আরও তিনটি কাঁঠাল গাছ কাটা হয়েছে। এসব বৃক্ষ নিধনের পেছনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যদিও গাছ কাটা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, পান্টি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাইজাল বিশ্বাস প্রায় ১৫ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি সড়কের পাকড় গাছটি বিক্রি করেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা তাইজাল বলেন, ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন প্রকাশ্যে গাছ কেটে নিচ্ছেন।

শনিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডাকুয়া নদীর কূল-ঘেঁষে পান্টি বাজার-খোর্দ্দ ভালুকা সড়ক। সড়কের পাশেই ৩০-৩৫ বছর বয়সী পাকড় গাছ। গাছটি কেটে কয়েকজন শ্রমিক মিলে ডালপালা নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। শ্রমিকদের পরিচয় জানা যায়নি। পাকড় গাছ থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে নদীপাড়ের আরও তিনটি কাঁঠাল গাছ কাটা হয়েছে। সেখানে পড়ে আছে গাছগুলোর গোড়ার অংশ।

এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা বলেন, পাকড় গাছটি তাইজাল বিক্রি করেছে। আপনি তার সঙ্গে কথা বলুন। এ কথা বলেই তারা গাছের কাটা অংশ নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন।

প্রকাশ্যে গাছ কাটা হলেও প্রতিবেদকের সঙ্গে স্থানীয়রা কথা বলতে রাজি হননি।

অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা তাইজাল বিশ্বাস বলেন, বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন, আত্তাফ উদ্দিন ও শফি উদ্দিনের নেতৃত্বে গাছ কাটা চলছে। মাসখানেক আগেও তারা প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের তিনটি কাঁঠাল গাছ কেটে নিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা তাইজাল বিশ্বাস প্রায় ১৫ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গাছ কাটতে বাধা দিয়েছেন।

এদিকে বিএনপি নেতাদের পক্ষে সাফাই গাইলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপির নয়, দেশের এই পরিস্থিতিতেও আওয়ামী লীগ নেতা তাইজাল সরকারি গাছ কাটছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সরকারি গাছ কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×