পাম্প জব্দের শোধ নিতে কাঁধে হাঁস মারার দায়

তাহিরপুরে বিষক্রিয়ায় মারা যাওয়া হাঁস পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমকাল
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫ | ০০:০৪
তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরে তিন শতাধিক হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক এ ঘটনায় টাঙ্গুয়ার হাওর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে থানায়।
গত ৮ মার্চ হাওরের চটান্নিয়া বিলে বিষক্রিয়ায় তিন শতাধিক হাঁসের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দেন উপজেলার রামসিংহপুরের খামারি কাজল মিয়া। এতে আবুল কালামসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। কাজলের দাবি, বিষ ছিটিয়ে হাওরে মাছ শিকার করা হয়েছে। পরে সেখানে গেলে বিষক্রিয়ায় হাঁসগুলোর মৃত্যু হয়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই ঘটনার সঙ্গে আবুল কালামের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাঁর কাঁধে এই দায় চাপানো হয়েছে অন্য ঘটনার জের ধরে, প্রতিহিংসার বশে।
পূর্ববর্তী ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, চটান্নিয়া বিল সেচে মাছ ধরার অভিযোগ রয়েছে খামারি কাজল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিস। এ নিয়ে কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামের অভিযোগের পর ৪ মার্চ ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় কাজল মিয়ার সেচ পাম্পটি জব্দ করে গোলাবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর তিন দিন পর বিলে মরা হাঁসের খবর পেয়ে সেখানে যান ইউএনও। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তকে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় কাজল
মিয়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
কালামের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ক্ষোভ জানিয়েছেন গ্রাম উন্নয়ন কমিটির নেতারা। তারা বলছেন, পাম্প জব্দের জের ধরেই হাঁস মরার ঘটনায় আবুল কালামকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও আবুল হাসেম বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে কাজল মিয়ার একটি সেচ পাম্প জব্দ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম। প্রতিহিংসার জেরে কালামকে হাঁস মারার ঘটনায় অভিযুক্ত করেছেন কাজল মিয়া।
- বিষয় :
- হাঁস