ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

দিন-রাত ব্যস্ততা সেমাইপল্লিতে

দিন-রাত ব্যস্ততা সেমাইপল্লিতে

রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর সেমাইপল্লির একটি কারখানায় রোদে শুকাতে দেওয়া সেমাই সমকাল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫ | ০০:৪৭

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্যস্ত রাজবাড়ীর সেমাইপল্লি। রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে সেমাই পৌঁছে দিতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ পল্লিতে সেমাই তৈরি করা হচ্ছে। 
সেমাইয়ের গুণগত মান ঠিক রাখতে নিয়মিত তদারকি করছেন মিল মালিক ও বিসিক কর্মকর্তারা। মান ভালো হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, 
মাগুরা, ঝিনাইদহসহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি জেলার বাজারে যাচ্ছে এ সেমাই। 
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ঈদের বাজার ধরতে কর্মমুখর সেমাই কারখানাগুলো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রমিকরা সেমাই তৈরির কাজ করছেন। বস্তা থেকে আটা মেশিনে ঢেলে মেশানো হচ্ছে। এরপর মেশিনের সাহায্যে সুতোর মতো সেমাই তৈরির পর, রোদে শুকিয়ে আগুনের তাপে ভেজে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। সবশেষে সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়।
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত দ্বীন ফুড প্রোডাক্টস কারখানার ম্যানেজার আব্দুস ছাত্তার জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তারা সেমাই তৈরি করেন। তাদের নিজেদের মিল থেকে ময়দা দিয়ে বানানো হয় সেমাই। প্রতিদিন বিশ মণ সেমাই তৈরি করেন তারা। তাদের উৎপাদিত সেমাই রং ও কেমিক্যালমুক্ত হওয়ায় চাহিদা রয়েছে বেশ। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় এখন দম ফেলার সময় নেই তাদের। রাজবাড়ীর চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলার বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে তাদের সেমাই।
শ্রমিক নাফিজা খাতুন জানান, সকাল ৮টায় এসে সারাদিন বিরতিহীন কাজ করে রাত ৯টার দিকে 
বাসায় ফেরেন। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় তাদের কাজের চাপও বেড়েছে। 
আরেক শ্রমিক ফুলজান বেগম জানান, তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে হাতে গ্লাভস পরে কাজ করেন। মিল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন।
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক চয়ন বিশ্বাস বলেন, রাজবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় তিনটিসহ জেলায় মোট চারটি কারখানায় প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১৫শ কেজি সেমাই তৈরি হচ্ছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মালিক ও শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত বিধিমালা মেনে যেন তারা সেমাই তৈরি করেন। যদি কেউ নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×