কাপড় চুরির অপবাদে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সমকাল
আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮:১৫
কাপড় চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের পরে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রেহাই মেলে যুবকের। মধ্যযুগীয় কায়দার এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায়। নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ওই যুবককে কাঁঠাল গাছে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ওই যুবককে ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশের নিকট তুলে দেন।
নির্যাতনের শিকার উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের ফারাজীপাড়ার পচা ফারাজীর ছেলে বজলু ফারাজী (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, হারদি গ্রামের খালপাড়ার কালু হোসেনের বাড়ি থেকে তার স্ত্রীর কাপড় চুরি হয়। ওই কাপড় নির্যাতনের শিকার ওই যুবক নিজেই পরে বিভিন্ন বাড়ির জানালা দিয়ে উঁকি দেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ভুক্তভোগী কালু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘুম থেকে উঠেন। পরে তিনি লক্ষ্য করে প্রতিবেশী জসির বসতবাড়ির জানালা দিয়ে মেক্সি পরিহিত একজন উঁকি দিচ্ছে। এসময় তিনি পেছন থেকে চোর সন্দেহে বজলুকে জাপটে ধরেন। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে বজলুকে আটকে কালুর বাড়ির পাশের একটি কাঁঠাল গাছে বেঁধে সারারাত নির্যাতন করে। মারধরের একপর্যায়ে বজলুর পরিহিত মেক্সিতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আগুন লাগাতে দেখা যায়। এসময় বজলু প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার দিতে থাকেন।
এ ব্যাপারে নির্যাতনকারীদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হারদি ইউনিয়নের খালপাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, রাতের এধারে চুরি করতে এলে বজলু নামে একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। তবে তাকে ধরে অনেকে মারধর করেছে। সকাল ৬টার দিকে আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে প্রশাসনের জিম্মায় তুলে দিয়েছি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান সমকালকে জানান, চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ও নির্যাতনের শিকার হওয়া যুবক বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বিষয় :
- নির্যাতনের শিকার
- চুরির অভিযোগ