সুবিচার মিলবে কত বছরে

..
রাঙামাটি অফিস
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫ | ২৩:৩৪
হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণের মামলাটির সুবিচার কত বছরে মিলবে– এমন প্রশ্ন তুলেছেন রাঙামাটির রাজনীতিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার আলোচিত এই ঘটনার ২৯ বছর উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এমন প্রশ্ন করেন তারা।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার মামলাটির তদন্তের নামে ২৯ বছর ধরে তামাশা করে যাচ্ছে। এই বিচার না হওয়ার জন্য তারা দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেও দায়ী করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা শাখা যৌথভাবে আশিকা হল রুমে সভাটির আয়োজন করে। এতে কল্পনা চাকমা মামলার আইনজীবী জুয়েল দেওয়ান বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০২৪ সালে অপহরণ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এ সময় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে বাদী কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালেন্দী কুমার চাকমা রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গৃহীত হয়। আগামী ১৭ জুন মামলাটির শুনানি হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা প্রতিবেদনে কল্পনা চাকমা অপহরণের শিকার হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তবু বিচার ও তদন্তের নামে তামাশা চলছে। তিনি প্রকৃত সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে মামলার সমাপ্তি টানার দাবি জানান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা স্পষ্ট করে দেখেছিলেন, কারা এই অপহরণ করেছিলেন। বিষয়টি শুধু আমাদের দেশে সীমাবদ্ধ নয়, সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। মানবধিকার সংস্থা থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সবাই স্বীকার করেছে কল্পনা চাকমা অপহৃত হয়েছেন। কিন্তু বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদে কেঁদে মরছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় এক বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও আলোর মুখ দেখেনি। এ স্বাধীন-সার্বোভৌম দেশে শুধু পাহাড়ের মানুষই নয়, দেশের সুবিধাবঞ্চিত সব মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির জেলা শাখার সভাপতি রিতা চাকমার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আইনজীবী কক্সি তালুকদার, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কবিতা চাকমা।
- বিষয় :
- বিচার ব্যবস্থা