ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

হামলায় শিক্ষার্থীর পা কেটে ফেলার ঘটনায় বিক্ষোভ

হামলায় শিক্ষার্থীর পা কেটে ফেলার ঘটনায় বিক্ষোভ

শেরপুরের নকলায় শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় বিচার চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ সমকাল

 শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫ | ০২:০০

শেরপুরের নকলায় হামলায় শিক্ষার্থীর পা কেটে ফেলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বারইকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বের হয়। প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে নকলা পৌর শহরে আসে পৌঁছায়। মিছিলে অংশ নেন কয়েকশ প্রতিবাদকারী। কর্মসূচির আয়োজন করে বারইকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুরাতন হলপট্টি এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়। এ সময় পা 
হারানো শাকিলের বাবা আমির হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমরা গরিব, তাই বাড়িতে ঢুইক্কা ছেলেরে কোপাইছে। সারা জীবনের জন্য ছেলেটা পঙ্গু হইয়া গেল! এখন ওরে কে দেখবে? আমরা ন্যায় বিচার চাই।’
ভুক্তভোগী শাকিলের মা ভানু বেগম চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘ছেলের পা গেছে, বিচার তো দূরের কথা! অহন বাড়িতে থাকবার পারতাছি না। মাইরা ফেলবার চায়। আসামিরা বুক ফুলাইয়া কয়, একজনের এক পা গেছে। এর পর যারা বেশি কথা বলবে, মামলা করবে তাদের দুই পা যাবে। আমরা কী দোষ করছি? আমগরে ওপর এত অত্যাচার কেন?’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শাকিলের ফুফু ময়না বেগম, বড় বোন কোকিলা বেগমসহ বন্ধু-বান্ধব ও এলাকাবাসী। এ সময় ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, সহপাঠীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির জেরে নবম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী শাকিল মিয়াকে গত ১৫ জুন তার সহপাঠী হাসিবুল রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে তার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় হাসিবুল, তার ভাই মো. অন্তিম, চাচা মো. ইস্রাফিলসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন শাকিলের বাবা। কিন্তু গত ১ সপ্তাহে কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ফুঁসে ওঠে শাকিলের সহপাঠী ও এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান সমকালকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যে কোনো সময় ধরা পড়বে।
 

আরও পড়ুন

×