ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

জেলের বরাদ্দ চাল বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে

জেলের বরাদ্দ চাল বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে

ফাইল ছবি

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫ | ০০:৩০

বরগুনায় জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। এতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এমনকি চাল পাওয়ার পর তা বিক্রি করে দিচ্ছেন জেলেরাও। বৃহস্পতিবার রাতে ১৫ বস্তা চাল জব্দের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গতকাল শুক্রবারও একটি দোকানে পাওয়া যায় ২১ বস্তা চাল। এদিন চাল বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়। 
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বরগুনা পৌর শহরের ডিকেপি সড়কের একটি দোকানে পাওয়া যায় ১৫ বস্তা চাল। এগুলো জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। জানা গেছে, দোকানটি শাহীন নামের এক ব্যক্তির। অভিযোগ রয়েছে, এসব চাল বিক্রি করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. গোলাম কবির। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। কয়েক দফায় কল দিয়েও তাঁর মোবাইল ফোনে সংযোগ মেলেনি। যে কারণে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। 
এদিকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থিত মিলন গাজীর দোকানে আরও ২১ বস্তা চাল দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তাদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বরগুনা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ্‌ আবু জাহের ঘটনাস্থলে যান। তিনি ব্যবসায়ী মিলন গাজীর কাছ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মিলনের ভাষ্য, তাঁর কাছে জেলেরাই চাল বিক্রি করেছেন।
সরকারি সহায়তার প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল থাকে। স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই দিন আগে ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৮০০ তালিকাভুক্ত জেলেকে সরকারি সহায়তার চাল দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, তাদের পরিমাণে কম চাল দেওয়া হয়। বাকি চাল ইউপি সদস্যরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যান। এসব চালই এখন কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমানের ভাষ্য, 
তিনি এরকম অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেবেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াছিন আরাফাত রানা বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণে নিশ্চিত হওয়া গেছে, জেলেদের জন্য বরাদ্দ ১৫ বস্তা চাল ইউপি সদস্য গোলাম কবির এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। ঘটনাস্থল থেকে আমরা চাল উদ্ধার করতে পারলেও অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।’
তিনি জানিয়েছেন, মিলন গাজী নামের আরেক ব্যবসায়ী সরাসরি জেলেদের কাছ থেকে কিছু সরকারি চাল কিনেছিলেন। সুবিধাভোগী জেলেরাই চাল বিক্রি করায় এগুলো জব্দ করা হয়নি। তবে মিলনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×