ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

‘রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও’

‘রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও’

ছবি: সমকাল

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫ | ২০:৫৮

মেয়েশিশুটি জন্ম নিয়েছিল বুধবার। ফুটফুটে শিশুটিকে দেখে বুক ভরে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। এর তিন দিনের মাথায়ই বুকফাটা আর্তনাদ করতে হচ্ছে তাদের। এক নারী তাদের বুকের ধন চুরি করে পালিয়েছেন। শনিবার সকালে শেরপুরের কালিরবাজার এলাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে ঘটে এ ঘটনা। স্বজনেরা এ ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। 

শিশুটির বাবা ফিরোজ মিয়া শেরপুর পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাতলি মহল্লায় বসবাস করেন। তাঁর ভাষ্য, সন্তান প্রসবের জন্য বুধবার স্ত্রী আবেদা বেগমকে নিয়ে যান কালিরবাজারের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি করার পর সেদিন রাতেই সিজারের মাধ্যমে মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তিনতলার একটি কক্ষে আছেন তারা। 

ওই কক্ষে প্রসূতি ও নবজাতককে দেখভাল করছেন ফিরোজের মা ও এক আত্মীয়। তাদের সঙ্গে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয় পরিচয়ে এক অপরিচিত নারী শিশুটিকে দেখতে যান। এক পর্যায়ে সখ্য গড়ে তোলেন। বোরকা পরা থাকায় তাঁকে কেউ চিনতে পারেননি। শনিবার সকালে শিশুটির মা যান শৌচাগারে। অন্য স্বজনেরাও ছিলেন বাইরে। এই সুযোগে শিশুটিকে নিয়ে পালান ওই নারী। 

ফিরোজের অভিযোগ, হাসপাতালের সব কক্ষে সিসিটিভি থাকলেও তারা যে কক্ষে ছিলেন, সেখানে ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল নবজাতক ও মাকে রক্ষা করা। কেন তারা নিরাপত্তা দিতে পারল না? এ সময় পাশে কাঁদছিলেন আবেদা। ‘আমগোর রাজকন্যারে ফিরায়া দ্যাও, কুনখান থেইক্কা আইনা দিবা, জানি না। ওরে না পাইলে আমরা বাঁচতাম না।’ বলে সন্তানকে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানাচ্ছেন তিনি। 

ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, শিশু চুরির ঘটনায় কারা জড়িত, তা জানতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। 

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। থানায় অভিযোগ হয়নি। তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন

×