নিখোঁজের একমাস পর জাপা নেতার মরদেহ উদ্ধার, রোহিঙ্গা যুবক গ্রেপ্তার

আনোয়ার হোসেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ | ২৩:২৪
নিখোঁজের এক মাস পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা আনোয়ার হোসেনের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে মাটি খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে লোহাগাড়া পুলিশ।
নিহত আনোয়ার উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি। তিনি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের মৃত আহমদ সওদাগরের ছেলে এবং পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। তার একটি গরুর খামার রয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ওসি জাকির হোসেন মাহমুদ জানান, লোহাগাড়ার দরবেশহাট সওদাগরপাড়া নিজ বাড়ি সংলগ্ন খামারবাড়িতে তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্যে পুলিশ খামার বাড়ির পেছন থেকে মাটি খুঁড়ে আনোয়ারের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, দুই রোহিঙ্গা যুবক আনোয়ারের খামারে গরু দেখভাল করতো। নিখোঁজের কিছুদিন আগে ওই রোহিঙ্গা কর্মচারীদের সঙ্গে আনোয়ারের ঝগড়া হয়। সেই ক্ষোভ থেকে বা আনোয়ারের কাছে থাকা টাকা আত্মসাৎ করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জানান, এই হত্যাকাণ্ডে দুই থেকে তিনজন অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই রোহিঙ্গা যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে টেকনাফের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একজনকে আটকের পর, সে জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ারকে হত্যার কথা স্বীকর করেছে।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, আনোয়ারকে কেউ অপহরণ করে নিয়ে গেছে এবং নিখোঁজের কয়েকদিনের মাথায় অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করা হয়। তবে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই টাকা চাওয়া হয় বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
পরে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর আনোয়ার তার দরবেশহাট সওদাগরপাড়া এলাকার খামারবাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে টমটমযোগে বটতলী মোটর স্টেশনে ফোরকান টাওয়ারে তার বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনটিও তখন বন্ধ পাওয়া যায়।