নারীকে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

ধর্ষণের মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ - সমকাল
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১ | ০৩:৩৭ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২১ | ০৩:৪৭
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে এক নারীকে সিলেটে এনে তিন দিন আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
নগরীর পার্শ্ববর্তী খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানস্থ সুন্দর মরাকোণা টিলার ওপরের একটি ছাউনির ভেতর ওই নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে বুধবার ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- এয়ারপোর্ট থানার লাউগুল গ্রামের প্রয়াত হামিদ মিয়ার ছেলে জামেদ আহমদ জাবেদ, একই থানার ফড়িংউড়া গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আহমদ, একই গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ ও বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের ছেলে রাসেল আহমদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মোবাইল ফোনে রং নম্বরের সূত্র ধরে জামেদ আহমদ জাবেদ ভৈরব এলাকার ওই নারীকে (২৫) নানা প্রলোভন ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সিলেট আসার জন্য অনুরোধ করে। ওই নারী তার কথায় রাজি হয়ে গত শনিবার বাড়ি থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলীস্থ হুমায়ুন চত্বর আসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় জাবেদ তাকে খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানের মরাকোণা টিলার ছাউনিতে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থান করছিল ফয়সল, রাসেল ও জৈন্তাপুরের শুক্কুরের বাজারের জামিল আহমদ নামে আরেক যুবক। নির্জন চা বাগান এলাকায় তাকে নিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে জাবেদ ওই নারীর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনসহ ব্যাগে ভর্তি কাপড় ও দরকারি কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে ওই চারজন ধর্ষণ করে। গত রোববার সকালে ধর্ষণকারীরা ওই নারীকে স্থানীয় ফড়িংউড়ার মুজিবুর রহমানের ছেলে রুবেল, কামাল উদ্দিনের ছেলে ইমাম উদ্দিন, ইশরাক আলীর ছেলে ফারুক, ফুল মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আহমদ, জামালের ছেলে আবুলের কাছে তুলে দেয়। তারাও আবার ধর্ষণ করে। মঙ্গলবার সকালে ওই নারী কৌশলে তাদের হাত থেকে পালিয়ে যান। পরে এক পথচারীর সহযোগিতায় তার বাড়িতে যোগাযোগ করেন। বাড়ি থেকে বুধবার রাতে স্বজন আসার পর থানায় গিয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মফিজ উদ্দিন সমকালকে জানান, ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ এরই মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
- বিষয় :
- ধর্ষণ
- দলবেঁধে ধর্ষণ
- সংঘবদ্ধ ধর্ষণ