ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

শান্তিচুক্তির কারণে পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

শান্তিচুক্তির কারণে পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৯:০০ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৯:০৭

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন জোরদার হয়েছে। বিশেষত শান্তি চুক্তির কারণে পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত হয়েছে পাহাড়ি জনপদের মানুষ।

আজ রোববার ‘পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর এফডিসি মিলনায়তে ব্র্যাক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র যৌথ আয়োজনে এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহযোগিতায় এই পার্বত্য বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থাকলেও কয়েকটি নৃ-গোষ্ঠী বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ছোট হয়ে যাওয়া কয়েকটি নৃ-গোষ্ঠী চাকমা-মারমাসহ অন্যদের সাথে মিশে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুরক্ষা এবং তাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পার্বত্য এলাকার তিনটি জেলায় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, পাহাড়ি এলাকায় অপরিকল্পিত পর্যটনের কারণে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই অপরিকল্পিত অবকাঠামো তৈরি এবং নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া যত্রতত্র পর্যটকদের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক সাফি রহমান খান। পার্বত্য বিতর্ক উৎসবে পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে।

'সামাজিক সচেতনতাই পারে বাল্যবিবাহ রোধ করতে' শীষক উদ্বোধনী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বান্দরবানের সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে রাঙ্গামাটির মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় বিজয়ী হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা হয় দময়ন্তী চাকমা। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক ড. শাকিলা জেসমিন, সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয় ও সাংবাদিক ফারহানা ন্যান্সী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। 

আগামী ৩১ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং পার্বত্য বিতর্ক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন।

আরও পড়ুন

×