ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪ | ১৩:০৯ | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ | ১৩:৩৬

আগামী ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ পালন করা হবে বলে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, মা ইলিশকে নিরাপদে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ইলিশের প্রচুর উৎপাদন এবং বাজারে থাকলেও অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে, ফলে সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন ও গণমাধ্যমের প্রচার-প্রচারণা প্রয়োজন। ইলিশ যখন বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি আসবে তখন দাম কমে আসবে, ফলে যারা সময়ে সময়ে ইলিশের দাম বাড়ায় তারা এ সুযোগটা পাবে না। মধ্যস্বত্বভোগীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এজন্য সাতদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে অর্থাৎ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ১১ মার্চ চাঁদপুরের সদর উপজেলার মোলহেড প্রাঙ্গণে এ বছরের জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন করা হবে।

এদিন মেঘনা নদীতে নৌর‌্যালি করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর মৎস্যজীবী পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভিজিএফের পরিমাণ ১০ কেজি থেকে ৪০ কেজিতে উন্নীত করেছেন।

‘বর্তমান সরকার জাটকা রক্ষায় কেবল আইন প্রয়োগ করছে না বরং ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে,’ বলেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০ জেলার ৯৭ উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত থাকা ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৭১ টন ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ইলিশ সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের হাতের নাগালে ইলিশ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, একইসঙ্গে দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র‍্যাব, আনসার-ভিডিপি ও বিজিবি সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

×