ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গরিব দেশগুলোতে বাস ২১ শতাংশ শরণার্থীর

গরিব দেশগুলোতে বাস ২১ শতাংশ শরণার্থীর

ফাইল ছবি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪ | ১০:২২

মানবাধিকার লঙ্ঘন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত, সহিংসতা; মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে বিশ্বে বাড়ছে অস্থিরতা। এসবের প্রভাবে বিভিন্ন দেশে শরণার্থী বেড়ে ১২ কোটি হয়েছে। শরণার্থীদের ২১ শতাংশ আশ্রয় নিয়েছে গরিব দেশগুলোতে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার পালিত হবে ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস’।
উদ্বাস্তু বা শরণার্থীদের অধিকার, তাদের চাহিদা, নিপীড়ন, অত্যাচার ও দুর্দশা স্মরণে ২০ জুন বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও নানা আঙ্গিকে দিবসটি পালন করা হয়।

ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে গত এপ্রিল পর্যন্ত শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। এর মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সাড়ে ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয়ে নিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে উদ্বাস্তু বা শরণার্থী ছিল ১১ কোটি ৭৩ লাখ, যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাদের কেউ রাষ্ট্রহীন, কেউ আশ্রয়প্রার্থী এবং কেউ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। তবে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষই সবচেয়ে বেশি।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, জীবন বাঁচাতে শরণার্থীদের ৬৯ শতাংশ প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আর মোট শরণার্থীর ৭৫ শতাংশ স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। শরণার্থীদের বেশির ভাগ বাংলাদেশ, শাদ, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ সুদান, সুদান, উগান্ডা, তানজানিয়া, ইয়েমেনের মতো ৪৫টি গরিব দেশে আশ্রয় নিয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এসব দেশ বিশাল সংখ্যক শরণার্থীদের দেখভাল করছে।

আরও পড়ুন

×