ব্র্যাকের কর্মশালায় গবেষকরা
জলবায়ু-সহনশীল কৃষির উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি

ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫ | ০২:৫৩
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছেন বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষক। এই সংকট মোকাবিলায় কৃষিতে অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করেন কৃষি গবেষকরা।
‘ব্র্যাক এডাপটেশন ক্লিনিক এবং দীর্ঘমেয়াদী কৃষি-পরামর্শমূলক সেবার জন্য আকাসা পোর্টালের সুবিধা প্রদান’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তাঁরা এসব কথা বলেন। গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে (বিসিডিএম) কর্মশালা শেষ হয়। এর আয়োজন করে ব্র্যাক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) ও আকাসা প্রকল্প।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মাটির উর্বরতা হ্রাস, উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া, ফসল উৎপাদনে অনিশ্চয়তা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো ঝুঁকি বাড়ছে। এই বাস্তবতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএআরসি, বাংলাদেশ ধান ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ব্র্যাকের মতো সংস্থার কার্যকর সমন্বয় ও অংশীদারত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএআরসির পরিচালক (কম্পিউটার ও জিআইএস) এবং আকাসা প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হাসান মো. হামিদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির প্রধান আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএআরসির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোশাররফ উদ্দিন মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ ও মো. মনিরুল ইসলাম।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক তৌসিফ আহমেদ কোরেশী। তিনি বলেন, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ১৯টি এডাপটেশন ক্লিনিক পরিচালনা করছে ব্র্যাক। এটি কৃষকদের জলবায়ু-সহনশীল ফসল নির্বাচন, আবহাওয়া তথ্য, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।
আকাসা প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু-সহনশীল কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় উপাত্ত ও বিশ্লেষণ সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি জলবায়ু ঝুঁকি, দুর্যোগ প্রবণতা ও কৃষির ওপর প্রভাব বিষয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে।