খুবির ৩ শিক্ষককে চাকরিতে বহালের নির্দেশ

সমকাল প্রতিবেদক ও খুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৯:০৪
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষককে বরখাস্ত ও দুই শিক্ষককে অপসারণের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্যার সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে তিন শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার আদেশ স্থগিত করে ওই তিন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া বলেছেন, যেহেতু তিন শিক্ষক এখনও তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি, তাই তাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে কোনো আইনি বাধা নেই। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ওই তিন শিক্ষক উচ্চ আদালতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে রিট আবেদন করেন। চারদিন পর রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আদালতের দ্বৈত বেঞ্চ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের চাকরি চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি কেন ওই সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি, তবে আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পাইনি। পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে, তিন শিক্ষকের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলা সাড়ে ১২টায় চোখে কালো কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় অষ্টম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬-৭ জন শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোয় গত ২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১২তম সভায় বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজলকে বরখাস্ত, একই ডিসিপ্লিনের প্রভাসক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।