ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ছোঁয়াচে ‘স্ক্যাবিস’ রোগের উপসর্গ

ছোঁয়াচে ‘স্ক্যাবিস’ রোগের উপসর্গ

ফাইল ছবি

ডাক্তারবাড়ি ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫ | ০০:২১

গরম এবং ঘনবসতিপূর্ণ দেশে থাকি আমরা। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা পরজীবী প্রাণীসংক্রান্ত নানা অসুখ, ছোঁয়াচে রোগব্যাধি লেগেই থাকে। এমনই এক সংক্রামক রোগ হলো স্ক্যাবিস। এ ক্ষেত্রে বাচ্চার দু’আঙুলের ভাঁজে, গায়ের চামড়ায় ক্ষত (লিসন) বেরিয়ে যায় এবং সে ক্রমাগত চুলকাতে থাকে। বিশেষত, রাতে সমস্যা এতটাই বাড়ে যে, বাচ্চা ঘুমোতে পারে না। সন্তানের কষ্ট দেখে উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন বাবা-মা। কোনো জটিল সমস্যা হলো কিনা, কীভাবে বাচ্চা সারবে তা নিয়ে বাবা-মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। স্ক্যাবিস পরজীবী প্রাণীঘটিত রোগ। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়ায়। কখনও তা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে হয়। কখনও গামছা, পোশাক, বিছানার চাদর ইত্যাদি ভাগাভাগি করে ব্যবহার করলেও হতে পারে। কিছু স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চললে একে রুখে দেওয়া সম্ভব।
উপসর্গ
lখোসপাঁচড়া হলে সারা শরীর চুলকাতে থাকে। তবে আঙুলের ফাঁকে, নিতম্বে, যৌনাঙ্গে, হাতের তালুতে, কবজিতে, বগল, নাভি ও কনুইয়ে চুলকানি বেশি হয়। রাতে বেশি অনুভূত হয়।
lছোট ছোট ফুসকুড়ি ওঠে; যা খুব চুলকায় এবং তা থেকে পানির মতো তরল বের হতে পারে।
lচুলকানির ফলে ক্ষত হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে অন্য সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। এ রোগের উপসর্গ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুর ক্ষেত্রে অনেক সময় ভিন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
lশিশুর ক্ষেত্রে হাত-পায়ের তালু, মাথাসহ শরীরের যেকোনো জায়গায় খোসপাঁচড়া হতে পারে। আপনি যদি ওপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি লক্ষ্য করেন তবে আজই একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন। স্ক্যাবিস প্রাণঘাতী রোগ নয়। এটি তীব্রভাবে বিরক্তিকর এবং অন্যদের জন্যও সংক্রামক হতে পারে। একজন চিকিৎসক সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনাকে সঠিক চিকিৎসা দিতে সাহায্য করতে পারেন।
চিকিৎসা 
স্ক্যাবিস থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি।।
lপরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
lগরম পানি দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে গোসল করতে হবে।
lসাবান দিয়ে গোসল করার পর শরীর ভালো করে মুছে শুকাতে হবে।
lচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গলা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের সব জায়গায় লোশন বা ক্রিম লাগাতে হবে। এরপর ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর আবার সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। এক সপ্তাহ এভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
lচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মুখে খাওয়ার ওষুধ খেতে হবে।
lরোগীর বিছানার চাদর, বালিশের কভার, গামছা-তোয়ালেসহ ব্যবহৃত অন্যান্য কাপড় নিয়মিত গরম পানিতে ফুটিয়ে পরজীবীমুক্ত করতে হবে।
lঘর-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
lযেসব খাবার খেলে রোগীর অ্যালার্জি হয়, সেসব এড়িয়ে চলতে হবে।
lস্ক্যাবিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে পুষ্টিকর খাবার ও ফলের রস খেতে হবে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান ও তরল খাবার বেশি খেতে হবে। v

আরও পড়ুন

×