ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

প্রণোদনার ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চায় বিজিএমইএ

প্রণোদনার ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চায় বিজিএমইএ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১০:১৪ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২১ | ১০:৩১

প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে পাওয়া ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় চায় পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। ১৮ কিস্তির পরিবর্তে ৩৬ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের সুযোগ চেয়েছেন সংগঠানের নেতারা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা। সচিবালয়ে এক বৈঠকে মঙ্গলবার এ অনুরোধ জানান তারা।

বৈঠকে বিজিএমইএর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম মান্নান (কচি)। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সাংসদ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহসভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও পরিচালক এম এহসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

নেতারা বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পোশাক শিল্পের কঠিন সময় দীর্ঘায়িত হয়েছে। সেই অবস্থা এখনও কাটেনি। এই সংকটময় সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকারের দেওয়া ঋণ পরিশোধের কিস্তির সংখ্যা ১৮টির পরিবর্তে ৩৬টি করা খুব প্রয়োজন।

ঋণখেলাপি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ নেতারা বলেন, কোনো গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ব্যবসা পরিচালনা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাংকঋণ সুবিধার অভাবে নিয়মিত ভালো প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও একপর্যায়ে ঋণ পরিশোধ করার কোনো সুযোগ থাকে না। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপের যে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপির কারণে সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চলমান ঋণ ও ব্যাংক সুবিধাদী বন্ধ না করে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলীকরণের সুযোগ দিয়ে ঋণ সুবিধা বহাল রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তারা।

করোনার শুরুতে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। দ্বিতীয় দফায় আরও বাড়িয়ে ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়। এক হাজার ৮০০ পোশাক কারখানা এই প্যাকেজ থেকে ঋণ পেয়েছে।

আরও পড়ুন

×