স্মরণে বাউল শাহ আবদুল করিম

কিংবদন্তি বাউল শাহ আবদুল করিম
আনন্দ প্রতিদিন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৫:৫৭
কিংবদন্তি বাউল শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবস আজ। প্রতি বছর এই দিনে তাঁর স্মরণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা আয়োজন হয়ে আসছে। বাউল গানের সাধক-অনুরাগীরা তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি নিয়ে বন্দনা করে চলেছেন।
১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে জন্ম শাহ আবদুল করিমের। বাবা ইব্রাহীম আলী ও মা নাইওরজানের দরিদ্র পরিবারের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাঁর বেড়ে ওঠা। শৈশবে একতারা হয়ে উঠেছিল করিমের নিত্যসঙ্গী। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাউল ও আধ্যাত্মিক গানে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে তালিম নিতে ছুটে গিয়েছিলেন কমর উদ্দিন, সাধক রশিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহীমের মতো বাউল সাধকের কাছে। সাধনার মধ্য দিয়ে নিজেকে তাদের যোগ্য শিষ্য হিসেবে প্রমাণ করেন। শাহ আবদুল করিম সংগীতের প্রতি এতটাই অনুরাগী ছিলেন যে এর বাইরে তিনি অন্য কোনো পেশা বেছে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন না।
গান বাঁধা, গান গাওয়া আর কৃষিশ্রমের মধ্য দিয়ে পুরো জীবন পার করেছেন। ১ হাজার ৬০০-এর বেশি গান লেখা ও সুর করার মধ্য দিয়ে তিনি কড়া নেড়ে গেছেন অগণিত সংগীতপ্রেমীর মনে। তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে’, ‘বসন্ত বাতাসে’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘কেমনে ভুলিব আমি’সহ অসংখ্য গান আজও শ্রোতাদের মনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে। সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।
- বিষয় :
- শাহ আবদুল করিম
- প্রয়াণ দিবস