নিপুণের করা রিট নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

যে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি দিয়ে জায়েদ খান দেশব্যাপি পরিচিতি পেয়েছিলেন এখন সেই সমিতির সদস্যপদই নেই তার। বলতে গেলে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ততার কারণে এসব নিয়ে নাক গলাননা তিনি। প্রশ্ন করলেও এড়িয়ে যেতে চান। গেলো মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়েও প্রকাশ্যে কথা বলতে দেখা যায়নি তাকে।

একমাস আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সমিতির নির্বাচন। ভোটের ফল প্রকাশের দিন নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান অভিনেত্রী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। কিন্তু হঠাৎ ১৫ মে নতুন কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত এই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

বিষয়টি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, ‘তখন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এত দিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এটা দ্বৈতনীতি! আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।’ 

নিপুণের এই আচরণ নোংরা মানসিকতা বলে উল্লেখ করে জায়েদ খান। জানালেন, ‘শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তাঁর কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করছি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।’

দুই বছর আগেও শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ। সেবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খানকে নিয়ে আপত্তি জানান অভিনেত্রী। এবার পুরো শিল্পী সমিতির কমিটির বিরুদ্ধেই আদালতে গেলেন নিপুণ আক্তার। অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন তিনি।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বুধবার রিটটি জমা দেওয়া হয়েছে। রিটের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত মঙ্গলবার রিটটি করা হয় বলে জানান নিপুণের অন্যতম আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়।

গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর আর সাধারণ সম্পাদক হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।