দাম্পত্যে দাঁড়ি টানলেন অনুপম

অনুপম রায় ও পিয়া চক্রবর্তী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২১ | ০২:১০ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২১ | ০৩:৫২
প্রেম, অভিমান, দুঃখ, বিচ্ছেদের গানে শ্রোতাদের প্রথম পছন্দ অনুপম রায়। ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ ‘আমি কী তোমায় বিরক্ত করছি’ অনুপমের গানে বারবার উঠে এসেছে মন ভাঙা, ঘর ভাঙার কাহিনি। এবার ঘর ভেঙেছে স্বয়ং তারই। বৃহস্পতিবার টুইটারে নিজেদের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন অনুপম রায় ও পিয়া চক্রবর্তী। দীর্ঘদিনের বান্ধবী পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা টুইট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন অনুপম। পিয়াও একজন সংগীতশিল্পী। একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানেই দেখা গেছে তাদের। এতদিন তাদের দেখে ঘুণাক্ষরেও বোঝা যায়নি যে বিচ্ছেদের পথে রয়েছেন টলিউডের এই অন্যতম হ্যাপি কাপল।
অনুপমের অ্যাকাউন্টে টুইট বার্তায় তারা লিখেছেন, ‘আমরা, অনুপম ও পিয়া, যৌথভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর থেকে আমরা স্বাধীনভাবে বন্ধু হিসেবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের একসঙ্গে এই যাত্রাপথ ছিল সুন্দর যেখানে রয়েছে অসংখ্য মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা ও আনন্দের স্মৃতি। আমাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত দূরুত্বের কারণেই আমরা এই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা আমাদের দুজনের ভবিষ্যতের জন্য়ই ভালো। তবে আমরা এখনও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে একে অপরের পাশে থাকব। আমরা আমাদের সকল বন্ধু, পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের প্রতিটি পদেক্ষেপে আমাদের পাশে ছিল। তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আগামী দিনেও তারা যেন আমাদের পাশে থাকেন এবং আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে এই বদলে যাওয়া সম্পর্ক যেন মেনে নেন।’
নেপথ্য অনুঘটক নিয়ে গুঞ্জন
২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়ার পর এখন বিচ্ছেদের ঘোষণা আসতেই নতুন করে গুঞ্জন শুরু- পুরো অঘটনের নেপথ্য নায়ক নাকি টলিউডের এক প্রথম সারির তারকা! যিনি টলিউডের মতোই বলিউডেও সমান ব্যস্ত। একই সঙ্গে শাসক দলেরও ঘনিষ্ঠ। সেই নায়কের সঙ্গেই নাকি বেশ কিছু দিন ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পিয়া।
আনন্দবাজার অনলাইনের খবর অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইয়াসে যখন গোটা বাংলা বিপর্যস্ত তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তন্ময় ঘোষের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেই মঞ্চেই যোগ দিয়েছিলেন অনুপম, পরমব্রত, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়সহ এক ঝাঁক তারকা। যুক্ত হয়েছিল পিয়া চক্রবর্তীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হেডস’। তারাই অতিমারির সময় গঠন করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’। পরে সেই সংগঠনে যোগ দেন পিয়া চক্রবর্তী।
উঠে আসছে আরও একটি ঘটনা। ২৭ জুন জন্মদিন ছিল পরমব্রতের। একটি পোস্টে পিয়া সে দিন শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তার ‘বন্ধু’কে। পরমব্রতের সঙ্গে ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন। আরও অনেক স্মৃতি তৈরি করব আমরা।’ ১৬ অগস্ট ছিল পিয়া চক্রবর্তীর জন্মদিন। সে দিন পরমব্রত ফিরিয়ে দেন সেই শুভেচ্ছা। ইনস্টাগ্রামে পিয়ার সঙ্গে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এবং অনুষা বিশ্বনাথনকে। ছবি দিয়ে পরমব্রত লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন বন্ধু। কমরেড, ভরসার মানুষ। চল, অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি তৈরি করি। ঠিক যে রকমটা তুমি চেয়েছিলে জন্মদিনে।’
পাশাপাশি সূত্রের আরও খবর, ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, তার দেখভালে তৈরি হয়েছে নয় সদস্যের এক কমিটি। নাম না হওয়া সেই কমিটির প্রধান পরমব্রত। সম্প্রতি তাতে নাকি যোগ দিয়েছেন পিয়াও। এগুলোই কি দাম্পত্য ভাঙার নেপথ্য অনুঘটক? জবাব যথারীতি অজানা।