দাদার বাড়ির ঈদের স্মৃতি

এঁকেছেন রজত
লিখেছেন আরহাম বিন আনোয়ার
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫ | ০০:০৮
নীলফামারীর সরকারপাড়ায় আমার দাদার বাড়ি। এই ঈদে আমি আমার বড় কাজিন ইথেন ভাইয়ার সাথে বাবা-মাকে ছাড়া আগেই নীলফামারী যাই। আমার ভাইসহ বাবা-মা পড়ে আসেন। এবার ঈদে দাদার বাড়িতে অনেক মজা করেছি। যখন কিছু করার ছিলো না তখন আমি টিনটিন কমিকস পড়েছি। ঈদের আগে বাবা আমাকে ১৩টি টিনটিন কমিকস কিনে দিয়েছেন। এবার আমি অনেক কাঁচা-পাকা আম এবং কাঁঠাল খেয়েছি। বাবার মতো কাঁঠাল আমার অনেক প্রিয় ফল। এই প্রথম নিজের চোখের সামনে গাছ থেকে পাকা আম পড়তে দেখেছি। সমস্যা হলো, পাকা আম গাছ থেকে পড়লে ফেটে নষ্ট হয়ে যায়; তাই ঠিকমতো খাওয়া যায় না। দাদাবাড়ি থেকে একটু দূরে নদী দেখতে গিয়েছিলাম। আমি, ছোট ভাই আফসানসহ প্রথমবার নদী পার হয়ে ওপাড়ে গিয়েছিলাম। রোদের কারণে নদীতীরের বালু অনেক গরম ছিলো। এবার গরমের কারণে বাবা আমাকে গরুর হাটে যেতে দেননি। আমার বড় আম্মু আমাকে তাঁর হাতের তৈরি দই খাইয়েছেন। বড় আব্বু বাজার থেকে গুলগুলা কিনে এনে খাইয়েছেন। ফুটবল খেলেছি আরাফ ভাইয়া, সোপান ভাইয়া এবং আফসানদের সঙ্গে। আমি গোলকিপার ছিলাম এবং ৩-৪টা গোল সেভ করেছি। আমার আপিরা রাতের বেলা অনেক ভূতের গল্প বলেছে। এক দাদু বিডিআর ছিলেন। তিনি যুদ্ধের গল্প শুনিয়েছেন আমাদের।
ঈদের নামাজ পড়তে বড়দের সঙ্গে ঈদগাহে যাই। নামাজ শেষে কোলাকুলি করি, দাদার কবরে দোয়া করি এবং ফিরে এসে গরু কোরবানি দেখি। আমি আবার দাদাবাড়ি যেতে চাই। আমার দাদাবাড়ি ভালোবাসি। তোমরাও নিশ্চয়ই গ্রামের বাড়ি পছন্দ করো!
বয়স : ১+৩+৪ বছর; দ্বিতীয় শ্রেণি, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা
- বিষয় :
- স্মৃতি