ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, আরও ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, আরও ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা চলছেই। ছবি: আল জাজিরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫ | ১১:০২

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা চলছেই। বাদ যাচ্ছে না সেখানে অবস্থিত ক্যাফে, স্কুল ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র। ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান সাম্প্রতিক হামলায় আরও ৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

স্থানীয় সময় সোমবার গাজা শহর ও উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে শুধু আল-বাকা নামে এক সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেতেই নিহত হন ৩৯ জন। খবর আল জাজিরারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই সেখানে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। ক্যাফেটিতে নারী ও শিশুসহ অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন একটি জন্মদিন উদযাপন করতে। সেখানে নিহতদের মধ্যে এক সাংবাদিকও রয়েছেন। তার নাম ইসমাইল আবু হাতাব।

এদিকে গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপরও হামলা চালানো হয়। আবু জারাদে নামের একজন জানান, তারা হামলার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে সরে যাওয়ার নোটিশ পান। তিনি বলেন, আমরা কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না। গত ৬৩০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আমরা কোনো সাহায্য পাইনি। প্রতিদিন মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছি।

এছাড়া মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল চত্বরে চালানো আরেক হামলায় আহত হন আরও অনেকে। সেখানে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। হামলার সময় আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে বিশৃঙ্খলা। অনেকেই দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। হাসপাতালটিতে এর আগেও অন্তত ১০ বার হামলা হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, ত্রাণের আশায় দাঁড়ানো মানুষকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবারের জন্য অপেক্ষারত মানুষের ওপর চালানো হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন এবং ৫০ জন আহত হন।

ইসরায়েলের এই হামলার শিকার অধিকাংশই ছিলেন ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়ানো সাধারণ ফিলিস্তিনি। জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে সীমিত পরিসরে গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করার পর থেকে এসব কেন্দ্রে প্রায় প্রতিদিনই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত এসব হামলায় অন্তত ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৪ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাদের সরাসরি নিরস্ত্র ত্রাণপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেনা জানিয়েছেন, অনেক সময় কোনো হুমকি না থাকলেও ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও সহিংসতার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

×