ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বারবার গ্রেপ্তার করা সেই পুলিশ অফিসারকে কিডনি দিলেন তিনি

বারবার গ্রেপ্তার করা সেই পুলিশ অফিসারকে কিডনি দিলেন তিনি

জোসলিন জেসন নিজের কিডনি দান করেন পুলিশ অফিসার টেরেল পটারকে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ০২:০২

যে কারণেই হোক না কেন পুলিশ অফিসার  কাউকে গ্রেপ্তার করলে তার ওপর ক্ষোভ কিংবা রাগ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি ওই পুলিশ অফিসারকে সেই ব্যক্তি নিজের কিডনি দিয়ে বাঁচান তাহলে তা একটু আশ্চর্যজনক ঘটনাই হবে বটে।

বিষয়টা আশ্চর্যজনক হলেও সম্প্রতি এমনি এক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা প্রদেশে। খবর এনডিটিভির

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানা গেছে, জোসলিন জেসন (৪০) নামের এক নারীকে মাদকাসক্তের কারণে কয়েকবার গ্রেপ্তার করেন পুলিশ অফিসার টেরেল পটার। সম্প্রতি ফেসবুকে জোসলিন ওই পুলিশ অফিসারের জন্য কিডনির খোঁজ চেয়ে একটি পোস্ট দেখেন। বাবার জন্য সহযোগিতা চেয়ে টেরেলের মেয়ে ওই পোস্ট দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জোসলিন নিজের কিডনি দানের ইচ্ছে নিয়ে টেরেলের মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন ও কিডনি দিয়ে বাঁচান ওই পুলিশ অফিসারকে।
 
জানা গেছে, জোসলিন একসময় প্রচণ্ডভাবে মাদকে আসক্ত ছিলেন। এজন্য নিজের চাকরিও হারিয়েছিলেন তিনি। এরপর নেশার টাকা জোগাড় করতে তিনি নানারকম অপকর্মে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ১৬ বার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জোসলিন ওই সময় শহরের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত অপরাধী ছিলেন।

এক রাতে টিভিতে জোসলিন নিজের নামটি ‘ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকায় দেখতে পান। এরপরই তিনি পুলিশের কাছে ধরা দেন এবং ছয় মাস জেলে কাটান। এরপর তিনি নয় মাস মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ছিলেন। বর্তমানে জোসলিন তার জীবনযাত্রা একদম বদলে দিয়েছেন। এখন তিনি তার মতো অবস্থায় থাকা অন্য নারীদের সহায়তার জন্য কাজ করছেন।

পুলিশ অফিসার টেরেল পটার জানান, জোসলিন তার মেয়ের পোস্ট দেখার আগ পর্যন্ত কিডনির জন্য তিনি সাত থেকে আট বছরের অপেক্ষা করেছেন।

জোসলিন জানান, ফেসবুকের পুরো পোস্টটি তিনি পড়েননি। কিন্তু যখনই দেখেছেন, তার জীবন পরিবর্তনকারী ওই পুলিশ অফিসারের কিডনি প্রয়োজন তখনই তিনি নিজের কিডনি দানের সিদ্ধান্ত নেন।

টেরেল পটার বলেন, আমাকে কিডনি দানের জন্য যদি ১০০ জনের তালিকাও তৈরি করা হয় জোসলিনের নাম নিঃসন্দেহে তার থেকে দূরে থাকবে। কারণ একসময় তাকে আমি কারাগারে পাঠিয়েছি। কিন্তু আরও বলেন, আমাদের মধ্যে কোনও ধরনের যোগাযোগ ছিল না। ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তাকে পাঠানোর জন্য।

ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গত জুলাই মাসে জোসলিন পুলিশ অফিসার টেরেল পটারকে কিডনি দান করেন। বর্তমানে তারা দুজনেই সুস্থ আছেন।
 

আরও পড়ুন

×