ক্যাপসিকামের অনেক গুণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ২১:২৭ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ২১:২৭
ক্যাপসিকাম সবুজ, লাল বা হলুদ রঙের এই সবজিটি যতটা সুস্বাদু, ঠিক ততটাই স্বাস্থ্যকর। সাধারণত স্বাস্থ্যকর সবজির তালিকায় একে রাখতে আমরা অনেক সময়ই ভুলে যাই। চায়নিজ রান্নার গ্রেভির বাইরেও কিন্তু আরও অনেক কাজে লাগে ক্যাপসিকাম।
ছোটবেলা থেকেই আমরা যেমন শুনে আসছি- গাজর চোখের জন্য ভালো। ঠিক একই কারণে কিন্তু চোখ ভালো রাখতে উপকারী ক্যাপসিকামও। এতে থাকা ভিটামিন-এ বিশেষত নাইট ভিশনের জন্য উপকারী এবং ক্যারোটিন চোখের মাস্কুলার ডিজেনারেশন ও বয়সজনিত কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া প্রতিরোধ করে।লাল ক্যাপসিকাম হজমক্ষমতা বাড়ায়; ফলে বাড়তি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো নানা রোগ প্রতিরোধ করে যে ভিটামিন-সি, তাতেও সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম। এটি শরীরে কোলাজেন তৈরি করে, যা ত্বক ও জয়েন্ট ভালো রাখে ও আর্থ্রাইটিস রোধ করে।
যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে, তারা প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন ক্যাপসিকাম। এ ক্ষেত্রেও লাল ক্যাপসিকাম বেশি কার্যকরী।
ক্যাপসিকামে রয়েছে ক্যাপসিসিন নামে এক উপাদান, যা কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়। শরীরে আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতেও এটি সাহায্য করে।
ডায়রিয়া বা বদহজমের সমস্যায় যারা ভোগেন তারা ক্যাপসিকামের জুস খেলে উপকার পাবেন। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসনালির প্রায় যে কোনো সমস্যাই প্রতিরোধ করতে পারে ক্যাপসিকাম।
চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর জন্য প্রধান উপাদান ভিটামিন-সি, যা আয়রন তৈরি করতে সাহায্য করে। লোহিত রক্তকণিকাতে যত বেশি আয়রন থাকে, চুলের গোড়ায় তত বেশি অক্সিজেন সরবরাহ হয়।
ভিটামিন-সি কোলাজেন তৈরি করতেও সাহায্য করে, যা চুলের গোড়া শক্ত করে এবং ত্বক ভালো রাখতেও উপকারী। ডিহাইড্রো টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে চুল ঝরে পড়া থেকেও রক্ষা করে ক্যাপসিকাম। সূত্র: হেলথলাইন