বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় জিয়া সরাসরি জড়িত: মেয়র তাপস

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় শেখ ফজলে নূর তাপস
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১৩:৩৬ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১৩:৩৬
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে খুনি রশিদ, ফারুক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দেখা করে। খুনিরা সেদিন সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ জিয়াউর রহমানকে বলেছিল, আমরা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই। তারা সেদিন রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও জিয়া তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। মার্শাল ল-এ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাদের আটক বা গ্রেপ্তারের কোনো চেষ্টা করেন নাই। মার্চ হতে আগস্ট, এই দীর্ঘ সময়ে জিয়া তাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অথবা রাষ্ট্রপতি অথবা সরকারের কাছে তথ্য দেননি বরং তিনি সেই সকল খুনিদের বলেছেন, ইউ গো এহেড- তোমরা এগিয়ে যাও। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যখন অধস্তন কর্মকর্তাকে বলেন তোমরা এগিয়ে যাও, তার মানে রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করতে তিনি তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এতগুলো জীবন্ত প্রাণকে হত্যা করার।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর মেরাজনগর সুপার মার্কেট এলাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, জিয়াউর রহমান আরও ঘৃণ্য রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। তখন জাসদ গঠন করা হয়েছিল সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড করার জন্য। সেই জাসদের সঙ্গে নেপথ্যে জিয়াউর রহমানের সম্পর্ক ছিল। সেটা প্রমাণ পাওয়া যায় ৭ নভেম্বরের ঘটনায়। সিরাজুল আলম খান বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান তাদের সঙ্গে একজনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। তাদের গণবাহিনীকে ব্যবহার করে ৭ নভেম্বরের সেই ঘটনা ঘটায়। সিরাজুল আলম খান তার জীবদ্দশায় লেখনিতেও এই ঘটনাপ্রবাহ লিখে গেছেন। তাহলে একজন সেনা কর্মকর্তা কেন একটি বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী, যারা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল, আজকে যেমন জঙ্গিবাদীরা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত, সে রকম একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে কি কারণে জড়িত, কি কারণে সম্পৃক্ত? এ ঘটনাপ্রবাহ থেকে পরিষ্কার যে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্র এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রমুখ বক্তব্য দেন।