‘পাকা ফলের মধুর রসে রঙিন করি মুখ’

সবার হাতে আম, আনারস। ফলাহার উৎসবে মধু মাসের মধু ফল খেয়ে দারুণ খুশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা - সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫ | ২২:৫১
মধু মাস জ্যৈষ্ঠ বিদায় নিলেও মধু ফলে ভরে আছে বাজার। চারদিকে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল আর আনারসের ম-ম সুবাস। মধু ফলের স্বাদ যদি সবাই নিতে না পারেন, তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষ প্রকৃতির দান থেকে বঞ্চিত হন। এমন ভাবনা থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিদ্যায়তন স্বপ্নচাষী আয়োজন করে ফলাহার উৎসব। নগরীর নাসিরাবাদে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই উৎসবে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি এ. এম. মাহবুব চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন শিশু-কিশোর সংগঠন পূর্বাশার আলোর সভাপতি আবু সাদেক।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম রাহী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাবন্ধিক নেছার আহমেদ খান, পরিবেশ সংগঠক উত্তম কুমার আচার্য্য, সমাজকর্মী আতিকুর রহমান আতিক। উপস্থিত ছিলেন জিয়াউল হক খোন্দকার, ফারহানা হক, ইসমাইল হোসেন মেহেরাজ, নুরুল কবির, শেখ আব্দুল্লাহ ইয়াছিন, প্রভাত মজুমদার আপন, মুহিবুল হাসান রাফি, আজিজুল ইসলাম, তানিয়া আক্তার ও জয়া দাশ, নোমান উল্লাহ বাহার।
স্বপ্নচাষীর শিক্ষক তানিয়া আক্তার বলেন, ‘উৎসবের মূল লক্ষ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মৌসুমি ফল খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া এবং তাদের মুখে একটুখানি হাসি ফোটানো। তাদের উচ্ছ্বসিত মুখ, চোখেমুখে খুশির দীপ্তি আর
প্রাণখোলা হাসিই ছিল আয়োজনের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সবার উচিত সুবিধাবঞ্চিতদের অধিকারের ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
সুবিধাবঞ্চিত শিশু আবদুর রহিম বলে, ‘পথে পথে আম–কাঁঠাল, আনারস বেঁচতে দেখি। খেতে মন চাইলেও টাকার অভাবে খেতে পারি না। আজ পেট ভরে ফল খেয়েছি। অনেক সময় বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে করে। এভাবে যদি একদিন বিরিয়ানি খাওয়ার আয়োজন হয়, তাহলে আমি আরও বেশি খুশি হব।’
- বিষয় :
- উৎসব পালন