ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সালতামামি

গাজার নারীরা

গাজার নারীরা

ছবি: এএফপি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:৫৭ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩:০৬

গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, ৪৫ হাজার ৪৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই নিহত ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবাধিকার পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক এবং মানবিক ত্রাণকর্মীসহ শত শত ফিলিস্তিনি নারী ও কন্যাশিশুকে নির্বিচারে আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেক আটক নারীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। তাদের ঋতুস্রাবের প্যাড, খাবার, এমনকি প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। নারীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস (ওএইচসিএইচআর) জানিয়েছে। গাজায় আটক ফিলিস্তিনি নারীকে খাবার ছাড়াই বৃষ্টি ও ঠান্ডায় খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা বিশেষ করে এমন খবরে ব্যথিত যে, আটক ফিলিস্তিনি নারীরা বিভিন্ন ধরনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নারীকে নগ্ন করে ইসরায়েলি পুরুষ সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা তল্লাশি করা। অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নারী বন্দিকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং অন্যদের ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।’ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যেসব জায়গায় প্রবেশ করেছে, সেখানকার অসংখ্য ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু নিখোঁজ হয়েছে।

আমরা যখন নতুন বছরের অপেক্ষায় আছি, তখন গাজার মায়েরা সন্তানের জীবনের জন্য উপত্যকার এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে পালাচ্ছেন। উম মোহাম্মদ সাবিহা মধ্য গাজা থেকে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন রাফাহ শহরে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে আমরা যে কঠিন পরিস্থিতিতে বাস করছি, তাতে আমি দুঃখিত একজন মা।’ সন্তানদের বাঁচাতে তারা রাফাহতে এসেছিলেন। আবার সেখান থেকেও পালাতে হয়েছে।

কঠিন মানবিক সংকটের মধ্যে বসবাস করা উম আদেল জাহার (৭৭) ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে তিনি যে খাবার খান, তা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। রাফাহ শহরের তাঁবুতে গোজগাছ করতে করতে ফিলিস্তিনি মা উম আদেল বলেন, ‘আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাই। আমরা আমাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ এবং বালুর মধ্যে বসতে চাই। এই আগ্রাসনের অবসান চাই। এ জায়গাটি আমার আসল বাড়ি নয়; বরং আমি ১৯৪৮ সালে অ্যাশকেলন শহরের ফিলিস্তিনি হামাম গ্রামে আমাদের জমিতে ফিরে যেতে চাই।’

আরও পড়ুন

×