ঋণ নিয়েও কেনার সুযোগ

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪ | ২৩:৪৪
৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের গরম। বাসাবাড়িতে এখন আর ফ্যানে স্বস্তি মিলছে না। একসময় এসি বিলাসিতা হলেও এখন প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ইট-পাথরের শহরে স্বস্তির জন্য অনেকেই যাপিত জীবনে অনেক কিছু বাদ দিয়ে এসি কিনছেন। একবারে চাপ নিতে না পেরে অনেকে মাসে মাসে জমানো টাকা ভাঙিয়ে ফেলছেন। কেউ কেউ আবার খুঁজছেন সহজ কিস্তিতে কেনার উপায়।
কিস্তিতে এসি কিনতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের কোনো না কোনো ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। এর বিপরীতে এসব প্রতিষ্ঠান আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে। আবার ব্যাংকের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে রয়েছে নানা প্রচার। এসি কিনতে হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বেশির ভাগ ব্যাংক ঋণ দেয়। এ জন্য কনজ্যুমার ক্রেডিট বা ভোক্তাঋণ নামে ব্যাংকিং পণ্য রয়েছে। অবশ্য একটি এসির দরের বিপরীতে কত শতাংশ ঋণ দেওয়া যাবে, তার অংশ ঠিক করা আছে। অনেক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ঋণ নিলে রয়েছে ছাড়। বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসব সামনে রেখে ডেবিট, ক্রেডিট বা প্রিপেইড কার্ডে পণ্য কেনাকাটায় ছাড় পাওয়া যায়। এসির বাড়তি চাহিদার কারণে এখন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান সুদ ছাড়াই ঋণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। সাধারণত ছয় মাস থেকে এক বছর মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ১৮ মাসের সমান কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে।
ঋণ কীভাবে পাবেন
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বিবরণ থাকে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টারে ফোন করে এ বিষয়ে জানা যায়। কারও কোনো ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব বা অন্য কোনো ঋণ হিসাব থাকলে সেই শাখায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। অনেক সময় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানও ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়। সাধারণত পণ্যের দামের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়। বাকি অর্থ গ্রাহককে তাৎক্ষণিক পরিশোধ করতে হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়, বিশেষ করে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়ের বিবরণী, নিজের ছবি ইত্যাদি জমা দিতে হয়। ব্যাংকের প্রতিনিধিরা দেখে থাকেন, গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ করার মতো আয় আছে কিনা। অনেক সময় অফিসের একজন সহকর্মীর গ্যারান্টি চায় কোনো কোনো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান। তবে এ ধরনের ঋণে কোনো জামানত লাগে না।
কার্ডে কেনাকাটায় বাড়তি সুযোগ
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তিন ধরনের কার্ড রয়েছে। ব্যাংকে সঞ্চয়ী বা চলতি হিসাবের বিপরীতে ডেবিট কার্ড ইস্যু করা হয়। আগে থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পরিশোধ করে ব্যাংকের কাছ থেকে প্রিপেইড কার্ড নেওয়া যায়। অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণের একটি সীমাসংবলিত কার্ড। সীমার মধ্যে আপনি যে কোনো কিছু কেনাকাটা করতে পারেন। সব ধরনের কার্ডেই কেনাকাটায় নানা ছাড় ও অফার থাকে। ছাড়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয়। বিপণিবিতানের এসব অফারের তথ্য প্রদর্শন করা হয়। সবচেয়ে বেশি ছাড় মেলে ক্রেডিট কার্ডের কেনাকাটায়।
- বিষয় :
- এসি